ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শিগগিরই ভূমি রেজিস্ট্রেশন সেবা অটোমেশন হতে যাচ্ছে। এজন্য সরকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে ১৭টি অফিসে এটি সফলভাবে চালু রয়েছে।
ভূমি রেজিস্ট্রেশন সেবা অটোমেশন বলতে বাংলাদেশে ভূমি সংক্রান্ত সেবাগুলোকে ডিজিটাল ও অনলাইনভিত্তিক করে তোলাকে বোঝানো হয়।
যার মাধ্যমে নামজারি, খতিয়ান/ম্যাপ প্রাপ্তি, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ এবং অন্যান্য ভূমিসেবা এখন অনলাইনে land.gov.bd ও eporcha.gov.bd-এর মতো পোর্টালে আবেদন, ফি প্রদান ও ট্র্যাকিং করা যায়, যা স্বচ্ছতা ও দ্রুততা বাড়াতে এবং দুর্নীতির সুযোগ কমাতে সাহায্য করবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সমন্বিত ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ গ্রাহকের ১৭ ধরনের সেবা নিশ্চিত করবে। এ লক্ষ্যে ১ হাজার ১৯৭ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প এবং ১ হাজার ২১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭টি সেবা পাওয়া যাবে। এসব সেবা পেতে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে সেবাগুলো মিলবে সেগুলো হচ্ছে- ই-মিউটেশন, রিভিউ ও আপিল মামলা ব্যবস্থাপনা, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা ব্যবস্থাপনা, মিউটেটেড খতিয়ান, ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ড, মৌজা ম্যাপ ডেলিভারি সিস্টেম, মিস মামলা ব্যবস্থাপনা, কৃষি ও অকৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা, দেওয়ানি মামলা তথ্য ব্যবস্থাপনা, হাটবাজার ব্যবস্থাপনা, জলমহাল ব্যবস্থাপনা, বালুমহাল ব্যবস্থাপনা, চা-বাগান ব্যবস্থাপনা, ভিপি সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, ভূমি অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনা ও অভ্যন্তরীণ বাজেট ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। ‘ল্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস ফ্রেমওয়ার্ক’ সিস্টেম সফটওয়্যারের মাধ্যমে একই কাঠামোয় নিয়ে এসে আন্তঃপরিচালনযোগ্য ডাটাবেজ তৈরি করে সরকারের অন্যান্য সব সেবার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি ৮ লাখ সুবিধাভোগী অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তিন কোটি জমির তথ্য ইতোমধ্যে ডিজিটালে রূপান্তর হয়েছে। প্রায় ৭০ শতাংশ নাগরিক স্বচ্ছভাবে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেছেন। অন্তত ৫০ শতাংশ নাগরিকের হয়রানি কমেছে। প্রতিদিন ৩০-৪০ লাখ টাকা তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ভূমি ব্যবস্থাপনার অটোমেশন হলে ভূমি রাজস্ব মামলা ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের উদ্দেশ্য সফল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে— সব অভ্যন্তরীণ মামলা (মিস কেস, রিভিউ ও রেন্ট সার্টিফিকেট) একই প্ল্যাটফর্মে পরিচালনা করা, অনলাইনে মামলার অবস্থা মনিটর ও সুপারভাইজ করা, দেওয়ানি মামলা ব্যবস্থাপনা ও একটি পরিপূর্ণ ডাটাবেজ তৈরি করা। এছাড়া বিভিন্ন জনবহুল এলাকা যেমন স্টেশন, বিপণি-বিতান, উপজেলা অফিস কমপ্লেক্স, ইত্যাদি জায়গায় ভূমিসেবা কিয়স্ক স্থাপনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। নাগরিকরা সেখানে প্রয়োজনীয় ফি’র বিনিময়ে জমির খতিয়ান ও ম্যাপ প্রিন্ট করতে পারবেন। দিতে পারবেন ভূমি উন্নয়ন কর। এছাড়া জানা যাবে নামজারি আবেদনের আপডেট।
