হাদি হত্যার বিচার দাবিতে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে তার সংগঠন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার পর থেকে সেখানে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা শাহবাগ অবরোধ করে রেখেছেন এবং এই অবরোধ তারা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
পরিস্থিতি খারাপ করা হলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও করতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অবরোধকারীরা।
এর আগে শুক্রবার বিকালে ইনকিলাব মঞ্চ ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বাংলাদেশের জনগণকে ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে শাহবাগে এসে অবস্থান করার আহ্বান জানান।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর সরেজমিনে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অবরোধের ফলে শাহবাগ মোড় দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কর্মসূচিতে সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শহীদ হাদি হত্যার পেছনে যারা জড়িত, এর যারা পরিকল্পনাকারী, হত্যাকারী— তাদের সবাইকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। আমাদের আর ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আজকে শাহবাগ অবরোধ করেছি। আগামীকালও করা হবে। সারা বাংলাদেশ থেকে জনতা আসছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া হাদির ভাই শরিফ ওমর বিন হাদি প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনা ঘেরাও করার হুমকি দেন। তিনি বলেন, সরকারের অবস্থা দেখে বোঝা যায়, বিচার নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। ওসমান হাদির বিচারের দাবি এখন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি। আমরা রাজপথে নেমেছি, বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না। আমরা কিন্তু আরও কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব। রাষ্ট্রের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই বলে দিতে চাই, আমাদের বাধ্য করবেন না ক্যান্টনমেন্ট বা যমুনা ঘেরাও করতে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে শুক্রবার জুমার নামাজের পর শাহবাগ অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে ইনকিলাব মঞ্চ। এ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও। টানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলতে থাকায় আশপাশের রাস্তায় যানজট দেখা যায়।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন ওসমান হাদি। এরপর প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
