Logo
Logo
×

আইন-বিচার

হাদি হত্যা: ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কারাগারে

Icon

বাসস

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম

হাদি হত্যা: ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কারাগারে

ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল দাউদের (৩৭) ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবিরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম এ আদেশ দেন।

দুই দফায় রিমান্ড শেষে এদিন তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামান তার এ মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদির ওপর দুষ্কৃতকারীরা গুলি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদির মৃত্যুর পর গত ২০ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজনের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজের পর প্রচারণা শেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডের পাকা রাস্তার উপর শরিফ ওসমান হাদির পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা মোটরসাইকেলে থাকা আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামি ওসমান হাদিকে চলন্ত অবস্থায় গুলি করে পালিয়ে যায়।

আহত শরিফ ওসমান হাদিকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম