হাদি হত্যার বিচার দাবি
অবরুদ্ধ শাহবাগে সংগ্রামের স্লোগান
হাজারীবাগ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির খুনিদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ কর্মসূচি শুরু করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। রোববার বেলা ২টার পর থেকে ঢাকার শাহবাগ মোড়ে এ অবরোধ শুরু হয়। রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তা চলছিল।
এর আগে শনিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চ ‘সর্বাত্মক অবরোধ’র ডাক দেয়। কর্মসূচি অনুযায়ী, রোববার দুপুর ২টায় শাহবাগ মোড়ে জুলাই স্তম্ভের নিচে জড়ো হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টার মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ এলাকায় আসতে শুরু করেন। তারা মোড়ের পাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা সব পথ বন্ধ করে দিয়ে মোড়ের মাঝখানে অবস্থান নেন। শাহবাগ থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, মৎস্যভবন ও এলিফ্যান্ট রোডÑসব দিকের যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ে বসে আছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তারা একটু পর পর স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’, ‘যেই হাদি জনতার, সেই হাদি মরে না’, ‘হাদি না মোদি, হাদি হাদি’- এমন নানা স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শাহবাগ এলাকা। শাহবাগ এলাকায় বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়।
ওসমান হাদি হত্যার বিচার দাবিতে শুক্রবার দুপুর থেকে শাহবাগ মোড়ে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিল ইনকিলাব মঞ্চ। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। শনিবার রাত ১১টার দিকে সেখানে আসেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা হবে। যারা ঘটনার পেছনে আছে, তাদের সবার নাম ও ঠিকানা উন্মেচিত করে দেব।’ তার এই বক্তব্যের পর শনিবার রাতের বাকি সময়ের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে ইনকিলাব মঞ্চ। একইসঙ্গে জানানো হয়, রোববার ডিএমপির পক্ষ থেকে ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেই সংবাদ সম্মেলন পর্যালোচনার পর দুপুর ২টা থেকে ঢাকাসহ দেশের ৮ বিভাগে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
উত্তরায় পাঁচ ঘণ্টা অচল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক: উত্তরা পশ্চিম (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ চলে। এতে আটকা পড়ে বাসসহ অন্যান্য যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে রওয়ানা দেন যাত্রীরা। বিপাকে পড়েন বিদেশগামী যাত্রীরা।
কথা হয় আব্দুল আলিম নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, সাড়ে ৩টা থেকে ২ ঘণ্টা বসেছিলাম বাসের মধ্যে। পরে নেমে হেঁটেই রওয়ানা দিচ্ছি। গাজীপুর যাব। এয়ারপোর্ট থেকে ময়মনসিংহ যাত্রা করা হোসনে আরা নামের এক যাত্রী যুগান্তরকে জানান, ৩টা থেকে বসে আছি বাসের মধ্যে। কীভাবে বাড়িতে যাব বলতে পারছি না।
