রোজার বাড়তি চাহিদা মেটাতে ভোগ্যপণ্য আমদানির এলসি বেড়েছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৯ এএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আসন্ন রোজা উপলক্ষ্যে ভোগ্যপণ্যের আমদানির এলসি খোলার হার বেড়েছে। এর মধ্যে ভোগ্যপণ্যের আমদানির এলসি খোলা বেড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। আলোচ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে, চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, ছোলা, মসলা। তবে সার্বিকভাবে সব ধরনের পণ্যের আমদানি এলসি খোলা বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ।
বিশেষ করে জ্বালানি তেল ও রপ্তানি শিল্পের কাঁচামাল আমদানি নেতিবাচক হওয়ায় সার্বিকভাবে পণ্যের আমদানি বৃদ্ধির হার কম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, আসন্ন রোজা উপলক্ষ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে বাকিতে পণ্য আমদানি ও এলসি খোলার কমিশন ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি বাজারের ডলারের দামও সহনীয়। চাহিদার তুলনায় সরবরাহও রয়েছে বেশি। এসব কারণে রোজার পণ্য আমদানির এলসি খোলার হার বেড়েছে। এসব পণ্য আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এসে দেশে পৌঁছাবে। মধ্য ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে রোজা।
প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, আসন্ন রোজা উপলক্ষ্যে প্রায় সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা বেড়েছে। এর মধ্যে চালের আমদানির এলসি খোলা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, প্রায় ২৮ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে ভোজ্যতেলের এলসি খোলা বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। চিনির এলসি বেড়েছে ১৭ শতাংশ, ডালের এলসি বেড়েছে ১১ শতাংশ। কিছু পণ্যের ডলারের হিসাবে এলসি খোলা কমেছে। তবে পরিমাণে বেড়েছে। কারণ ওইসব পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় এবার কম হওয়ায় পণ্যের আমদানি আগের চেয়ে বেশি হবে। কোনো কোনো পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ২০ শতাংশ কমেছে। তবে দেশের বাজারে ওইসব পণ্যের দাম কমেনি। বরং আরও বেড়েছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ প্রায় সব ধরনের শিল্পের কাঁচামালের দাম কমেছে। এ কারণেও ওইসব পণ্যেও আমদানি ব্যয় কমেছে। ফলে আমদানি না বাড়লেও পরিমাণে কাঁচামাল আমদানি বাড়ছে। সার্বিকভাবে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে দশমিক ৫০ শতাংশ। শিল্পের মধ্যবর্তী কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ।
