Logo
Logo
×

জাতীয়

কেমন ছিল ‘রাতের ভোট’ আখ্যা পাওয়া ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন?

Icon

বিবিসি বাংলা

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম

কেমন ছিল ‘রাতের ভোট’ আখ্যা পাওয়া ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন?

‘রাতের ভোট’ আখ্যা পাওয়া ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন কেমন ছিল?

অনেকটা একতরফাভাবে বাংলাদেশের দশম জাতীয় নির্বাচনের পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর এই নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল।

দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের আগের দিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চায় না আওয়ামী লীগ।

কিন্তু শেখ হাসিনার এই কথার সাথে বাস্তবতার যে মিল ছিল না তা স্পষ্ট হয় ভোট শুরুর আগেই। ভোটের আগের রাতেই অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকেই সারাদেশের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র দখলে নিয়ে নেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে আগের রাতেই গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার অভিযোগ আসতে শুরু করে।

ওই নির্বাচনের খবর প্রচারে আগে থেকেই দেশের গণমাধ্যমগুলোকে নানা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে।

যে কারণে নানা অনিয়ম, কারচুপি বা জালিয়াতির খবর পেয়েও তা প্রচার করতে পারেনি বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো।

ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোটের প্রতিপক্ষ ছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এর বাইরেও ছোট ছোট অনেক দলই অংশ নিয়েছিল নির্বাচনে। তবে নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াতে ইসলামী নিজেদের প্রতীকে সরাসরি ওই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি।

নির্বাচনের দিন নানা অনিয়মের পাশাপাশি সহিংসতাও হয়েছিল বিভিন্ন কেন্দ্রে। ভোট শুরুর পরই অনেক এলাকা থেকে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়া শুরু করেন।

ফলাফল ঘোষণায় সারাদেশে অস্বাভাবিক ফলাফলও দেখা গিয়েছিল। শতভাগ ভোটও পরেছিল কোনো কোনো কেন্দ্রে।

যদিও এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তৎকালীন কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

শুধু ভোটের দিন না, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা শুরু পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি ও জোট প্রার্থীদের ওপর হামলার নানা অভিযোগ আসছিল।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলা নিয়ে বিএনপি ও জোট প্রার্থীরা বারবার ইসিতে অভিযোগ নিয়ে আসলেও নির্বাচন কমিশনকে এ নিয়ে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নি।

তফসিলের পর থেকেই সহিংসতা

নভেম্বরের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই দেশজুড়ে একটু একটু করে সহিংসতা বাড়তে শুরু করে।

ডিসেম্বরের শুরুর দিকে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। প্রচারণার শুরুর দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির জোট প্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া যায়।

ফলে একটা পর্যায়ে নির্বাচনের প্রচারণা থেকেও সরে যায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। কোথাও গুলিবিদ্ধ ও আহত হন বিএনপির শীর্ষ নেতাদেরও কেউ কেউ।

একের পর এক প্রচারণায় বাধা আসার পর এ নিয়ে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা অভিযোগ নিয়ে গেলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি ইসি।


একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর পর থেকে নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত ২১ দিনে সারা দেশে অন্তত ২২ জন নিহত ও দুই হাজারের ওপরে মানুষ আহত হয়।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, ১০ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতা ও হামলায় আহত হন অন্তত ৫৬জন প্রার্থী। যাদের বেশিরভাগই ছিল বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোর।

প্রচারণার শুরুর দিকে হামলা সহিংসতা বাড়তে থাকার পর কোথাও কোথাও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখেন।

প্রচারণার শেষ সপ্তাহে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে বিজিবি ও সেনা মোতায়েন করা হয়। সে সময় দেশের কিছু কিছু জায়গায় সংঘাত সহিংসতা কিছুটা কমলেও অনেক জায়গায়ই বিরোধী জোটের প্রার্থীরা নামতেই পারেনি প্রচারণায়।

নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম মনে করেন ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট জোটকে অংশ নিতে দেওয়া হলেও সেটি ছিল প্রতীকী অংশগ্রহণ।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছিলেন, তাদেরকে ভোটে নিয়ে আসা হয়েছে, তারা ভোটে এসেছে। কিন্তু অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলেও তাদের কোনো ধরনের পোস্টার ব্যানার টানাতে দেওয়া হয়নি। প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছিল।

শুধু নির্বাচনী প্রচারণা ঘিরেই সহিংসতা হয় নি। ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন সারাদেশে ব্যাপকভাবে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। শুধুমাত্র নির্বাচনের দিনের সহিংসতায়ই নিহত হন ১৮জন, আর আহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ।

আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তির অভিযোগ

ভোটের দিন সারাদেশে সব ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৎকালীন কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী ভোটের আগের দিন ২৯শে ডিসেম্বর সকাল থেকেই দেশের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার, ব্যালট বক্সসহ সব নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে যায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্র।

ওইদিন সন্ধ্যার পর থেকে কেন্দ্রগুলোতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

দেশের অনেক নির্বাচনী এলাকা থেকে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ জানান যে কেন্দ্রগুলো দখলে নিয়ে রাত থেকেই সিল মারতে শুরু করে।

তাদের অভিযোগ ছিল, রাতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোটের প্রার্থীর সমর্থকেরা ব্যালট পেপারে সিল মেরেছে।

অনেক কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং অফিসার ও এজেন্টদের সহায়তায় ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে রাখার অভিযোগ উঠে আসে।

বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর কাছে এসব অভিযোগ আসলেও, ভোটের আগের রাতে অনেক কেন্দ্রে গিয়েও ঢুকতে পারেন নি, গণমাধ্যমকর্মীরা।

প্রায় সারারাতই বিরোধী প্রার্থীরা বিভিন্ন মিডিয়ায় টেলিফোন করে এমন অভিযোগ করছিলেন। যদিও নির্বাচনের দিন এই অভিযোগ জানতে চাওয়া হলে সে তা অস্বীকার করেছিল তৎকালীন হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ২০১৮ সালের ওই নির্বাচনসহ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচন নিয়ে তদন্ত কমিশনও গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে সেই কমিশন তদন্ত কাজও শেষ করেছে।

ওই নির্বাচন তদন্ত গঠিত কমিশনের একজন তৎকালীন নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সংস্থা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ বা ইডাব্লিউজির পরিচালক ছিলেন আব্দুল আলীম।

আব্দুল আলীম বিবিসি বাংলাকে বলেন, আগের রাতেই ভোট হয়ে গিয়েছিল অনেক জায়গায়। ওই কারণে ওই নির্বাচন রাতের ভোট হিসেবে আখ্যা পেয়েছিল।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময়ে দায়িত্বে থাকা ৩৩জন জেলা প্রশাসককে ওএসডি করেছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ওই জেলা প্রশাসকরা ছিলেন ওই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে।

ভোটের দিন সকালের চিত্র যেমন ছিল

নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন সকাল থেকে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভোটকেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করছিলেন বিবিসি বাংলার সংবাদদাতার।

ওইদিন সকালে আটটায় ভোট শুরুর কয়েক মিনিট আগে চট্টগ্রামের একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা শাহনেওয়াজ রকি।

সকাল সোয়া ৭টা থেকে পৌনে ৮টা নাগা চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের গেটের বাইরে ভোটার এবং রাজনৈতিক দলের কর্মীদের ভিড় দেখতে পেয়েছিলেন রকি।

ভোট শুরুর মিনিট দশেক আগে চট্টগ্রাম-১০ আসনের শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে গিয়ে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন, ভোটগ্রহণের জন্য প্রিসাইডিং কর্মকর্তার রুম থেকে যে ব্যালট বক্সগুলো ভোটকক্ষে নেওয়া হচ্ছে সেগুলোর প্রতিটিই ছিল ব্যালট ভর্তি।

বিবিসির সাংবাদিক কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষে গিয়েও ব্যালট ভর্তি বাক্স দেখতে পান। তিনি তার মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ব্যালট ভর্তি বাক্স কেন্দ্রের বুথে নেয়ার দৃশ্য ধারণ করেছিলেন।

চট্টগ্রামের সেই ভোটকেন্দ্রের বাইরে কিন্তু ততক্ষণে অনেক ভোটার জড়ো হয়েছিলেন। ভোটের আগেই বিবিসির ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্যালট ভর্তি বাক্সের ভিডিও সকালেই প্রকাশ করা হয়েছিল।

পরে অবশ্য ওই কেন্দ্রটির ভোট স্থগিত করা হয়েছিল বলে জানানো হয়।

সকালেই ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় বিবিসির সাংবাদিকরা অনেক অনিয়ম, কারচুপির ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন।

ওই নির্বাচনের পর্যবেক্ষণে থাকা ইডাব্লিউজির পরিচালক আব্দুল আলীম বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, আমরা নির্বাচনের দিন সকালে গিয়ে অনেক জায়গায় দেখেছি কেন্দ্রের ভেতরে ভোটারদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। কোথাও কোথাও কেন্দ্রের বাইরে ছিল ভোটারদের লম্বা লাইন।

যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছিল তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশন।

ভোটের হার ও বিএনপির ভোট নিয়ে নানা প্রশ্ন

বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নিজ এলাকা বগুড়া। বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর নির্বাচনেই এই জেলায় ধানের শীষের প্রার্থীরা বরাবরই ভোটে জয় পেয়ে থাকেন।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ আসনে মোট তিন লাখ ১৭ হাজার ভোটারের মধ্যে ভোট পড়ে দুই লাখ ৮৬ হাজার।

ভোটের ফলাফলে দেখা যায় এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মান্নান নৌকা প্রতীক নিয়ে পান ২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৬৮ ভোট। এর বিপরীতে এই আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম পান মাত্র ১৬ হাজার ৬১৩ ভোট।

একাদশ নির্বাচনে বিভিন্ন আসনের ফলাফলে নৌকা প্রতীকের বিপরীতে ধানের শীষের যে ভোট দেখা গেছে, সেটি অনেকের কাছেই বিস্ময়কর মনে হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের ফলাফলে দেখা গেছে, অনেক আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে বিএনপির প্রার্থী তার মাত্র দশ ভাগের এক ভাগেরও কম ভোট পেয়েছে।

উভয় দলের ভোটের ফলাফলে এতোটা পার্থক্য হবে সেটি অনেকে ভাবতেই পারেননি।

নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অতীতের নির্বাচনে যেসব আসনে বিএনপি ক্রমাগত জয়লাভ করেছে কিংবা পরাজিত হলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ভোট পেয়েছে, সেসব আসনে ওই নির্বাচনে ভোটের পার্থক্য ছিল অনেক বেশি।

নির্বাচনের ছয়মাস পর নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রভিত্তিক যে ফলাফল প্রকাশ করেছে, তাতে ভোট পড়ার অস্বাভাবিক চিত্র উঠে এসেছে। এতে দেখা গেছে, ১০৩টি আসনের ২১৩টি ভোটকেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ে।

নির্বাচন বিশ্লেষকদের অনেকেই এই ফলাফলকে অবিশ্বাস্য বলে আখ্যাও দিয়েছেন।

নির্বাচন বিশ্লেষক আব্দুল আলীম বলছিলেন, কোন কেন্দ্রে কখনোই শতভাগ ভোট পড়া কোনভাবেই সম্ভব না। অথচ ওই নির্বাচনে এতগুলো কেন্দ্রে যে শতভাগ ভোট দেখানো হয়েছে। তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল আছে বলে আমি মনে করি না।

এছাড়াও ওই নির্বাচনের ৪০ হাজারেরও বেশি কেন্দ্রের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এক হাজার ২০৫টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৯৬ থেকে ৯৯ শতাংশ।

আর ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে ৬ হাজার ৪৮৪টি কেন্দ্রে। আর ৮০ থেকে ৮৯ শতাংশ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে, এমন কেন্দ্রের সংখ্যা ১৫ হাজার ৭১৯টি।

এই বিষয়গুলো নিয়ে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন করা হলেও তিনি তখন এসব অভিযোগকে অস্বীকার করেছিলেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম