আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অভাবনীয় বিজয়ের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভায় এবারও ঠাঁই পেয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনজীবী আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলা ও জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি।
এছাড়াও বিডিআর বিদ্রোহ ও দুদকের মামলাসহ রাষ্ট্রীয় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন আনিসুল হক। তার বাবা প্রয়াত সিরাজুল ইসলামও ছিলেন দেশবরেণ্য রাজনীতিক ও আইনজীবী।
স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ণ কমিটির একজন ছিলেন সিরাজুল হক।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আনিসুল হকের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার পানিয়ারূপ গ্রামে। তার বাবা সিরাজুল ইসলাম ও মা জাহানারা হক দুইজনই মুক্তিযোদ্ধা।
আনিসুল হকের বিয়ের কিছুদিন পর সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী নূর আমাতুল্লাহ্ রিনা হক মারা যান। এরপর আর বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি তিনি।
তার বাবা সিরাজুল ইসলাম ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর সিরাজুল হক ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।
বাবা সিরাজুল হকের মৃত্যুর পর আইন পেশা আর মা জাহানারা হককে নিয়েই সময় কাটে তার।
বাবার আসন থেকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনিসুল হকের পাওয়া মনোনয়ন দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি কসবা-আখাউড়া উপজেলাবাসীকেও চমকে দেয়। অবশ্য সেই নির্বাচনে কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি।
এরপর তাকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয় মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন তিনি।
