Logo
Logo
×

জাতীয়

‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:৩৩ এএম

‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ছবি: সংগৃহীত

প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই।

মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর বাড্ডায় আফতাব নগরে নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। প্রখ্যাত এ সংগীতশিল্পী পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেও তিনি ভক্ত ও শ্রোতাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন চিরদিন।

গানের অ্যালবাম তৈরি থেকে শুরু করে অসংখ্য চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। 

১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।

বুলবুল অসংখ্য গানে সুর করেছেন, যার অধিকাংশ গানই তার নিজের রচিত। এসব গানে সুর দিয়েছেন এন্ড্রু কিশোর, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সামিনা চৌধুরী ও জেমসসহ দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীরা। 

বুলবুলের লেখা উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- 'সব কটা জানালা খুলে দাও না', 'মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে', 'সেই রেললাইনের ধারে', 'আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি', 'আমার বুকের মধ্যেখানে', 'আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন', 'আমি তোমারি প্রেমও ভিখারি', 'আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে', 'পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমারই ছোঁয়াতে যেন পেয়েছি', 'তোমায় দেখলে মনে হয়, হাজার বছর আগেও বুঝি ছিল পরিচয়', 'আম্মাজান আম্মাজান', 'স্বামী আর স্ত্রী বানায় যে জন মিস্ত্রি', 'ঈশ্বর আল্লাহ বিধাতা জানে'সহ আরও অনেক গান। 

প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। 

তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম