স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স করতে কী লাগে? ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণ আমদানি হয় না বললেই চলে। অভিযোগ রয়েছে, দেশে যেসব স্বর্ণের কেনাবেচা হয় তার একটা বড় অংশ আসে চোরাই পথে। আর এমন বড় ব্যবসা থেকে সরকার কোনো শুল্ক পায় না।
বাংলাদেশে স্বর্ণ নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী, এর লাইসেন্স নিতে হলে এক কোটি টাকার মূলধন থাকতে হবে। এতে ট্রেড লাইসেন্সসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য লাইসেন্স থাকতে হবে। ব্যাংকে জমা দিতে হবে অফেরতযোগ্য পাঁচ লক্ষ টাকা। এটি দিতে পে-অর্ডার হিসেবে।
এতে বলা হয়েছে, স্বর্ণের লাইসেন্স যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নিতে পারবেন।
এদিকে বাংলাদেশ জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন বলছে, প্রথমেই সরকারকে সহনশীল মাত্রায় শুল্ক নির্ধারণ করতে হবে। না হয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বে।
এ সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে সোনার দাম বেশি হলে মানুষ ভারতে গিয়ে সোনা কেনে।
তাদের দাবি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে মিল রেখে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করতে হবে।
তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণত স্বর্ণের দাম বাংলাদেশের চেয়ে কম। ব্যাংক থেকে ইস্যু করা পিওর সোনার ওপর সরকার একটা শুল্ক বসায়। সেটাতেও দাম কিছুটা বাড়ে।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে বছরে প্রায় ৪০ মেট্রিক টন। যার প্রায় ৩৬ মেট্রিক টন চাহিদা পূরণ করা হয় নানা পথে আনা সোনার মাধ্যমে।
এটা হয়ে এসেছে কারণ গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশে এই খাতটি নিয়ে কোনো নীতিমালাই ছিল না।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বর্ণের লাইসেন্সের জন্য আবেদনপত্র বিতরণ করেছে চলতি বছরের ১৮ই মার্চ থেকে। তবে এখন পর্যন্ত একটি ফরমও বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
