Logo
Logo
×

জাতীয়

জাহালমের দিন কেমন কাটছে জানতে চান হাইকোর্ট

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:১৬ এএম

জাহালমের দিন কেমন কাটছে জানতে চান হাইকোর্ট

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন বছর জেল খাটা নিরীহ জাহালমের দিন কেমন কাটছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য তাকে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে। 

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত গণমাধ্যমকে বলেন, জাহালমের দিন কাটছে কেমন, তা জানতে চান হাইকোর্ট। আদালত তাকে বলেছেন- আগামী শুনানির তারিখে জাহালমকে হাজির করার জন্য। সেদিন জাহালমকে হাজির করা হবে বলে জানান তিনি। 

এদিকে সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতিসংক্রান্ত ৩৩ মামলার সব কাগজপত্র হাইকোর্টে জমা দেয়ার তারিখ ছিল আজ। 

তবে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতকে জানান, সব কাগজপত্র এখনও প্রস্তুত হয়নি। এ জন্য আদালতের কাছে সময় চান দুদকের এ আইনজীবী। 

আগামী বুধবার শুনানির নতুন দিন নির্ধারণ করেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

জাহালম আজ তার বড় ভাই শাহানূরকে নিয়ে সকালে হাইকোর্টে আসেন। তবে শুনানির সময় তিনি আদালতের বাইরে ছিলেন। 

৩০ জানুয়ারি জাহালমকে নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে সেদিনই বিষয়টি বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।

জাহালমের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সঙ্গে ‘ভুল আসামির’ কারাগারে থাকার ব্যাখ্যা জানতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতিনিধি ও আইন সচিবের প্রতিনিধিকে তলব করেন হাইকোর্ট।

শুনানি শেষে ৩ ফেব্রুয়ারি তিন বছর ধরে কারাগারে থাকা পাটকল শ্রমিক জাহালমকে সোনালী ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, এই ভুল তদন্তে কোনো সিন্ডিকেট জড়িত কিনা, সিন্ডিকেট থাকলে কারা এর সঙ্গে জড়িত তা চিহ্নিত করে আদালতকে জানাতে হবে।

না হলে আদালত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে। আদালত দুদকের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে মন্তব্য করেন, এ রকম ভুলের দায় দুদক কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি রাতেই জাহালম কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান।

জাহালম হাইকোর্ট

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম