Logo
Logo
×

জাতীয়

মরণঘাতী ডেঙ্গু জ্বর

Icon

ডা. মো. সাঈদ এনাম

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০১৯, ০১:৪১ পিএম

মরণঘাতী ডেঙ্গু জ্বর

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বাড়ছে। ছবিটি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে তোলা। ছবি: যুগান্তর

ঢাকা শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মৃত্যুর খবর ও পাওয়া যাচ্ছে। আজ একজন সিভিল সার্জন ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেলেন। সিভিল সার্জন মানে হলো একটা জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তি। এর মানে অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।

ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগ। আপনাকে মশা না কামড়ালে আপনার ডেঙ্গু হবে না। সুতরাং সোজা কথা মশা মুক্ত থাকতে হবে, মশা মুক্ত রাখতে হবে।

সাধারণত হঠাৎ জ্বর, ব্যাথা, দূর্বলতা, ঘামাচির মতো লালচে দানা, চোখ লাল, প্রস্রাব লাল এসবই জ্বরের লক্ষণ। সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্ত এলাকার ভ্রমণের ইতিহাস থাকতে পারে। লক্ষণ সব সময় এক রকম নয়। কমবেশি হতে পারে।

একবার ডেঙ্গু জ্বর হলে ইমিউনিটি তৈরি হয় তার মানে এই নয় যে আবার ডেঙ্গু হবে না। ডেঙ্গু আবার হবে তবে যে ভাইরাস দিয়ে আগে হয়েছিল হয়তো সেই ভাইরাস দিয়ে হবে বা। নতুন একটা টাইপের ভাইরাস দিয়ে হবে।

মনে রাখবেন ২য় বার, ৩য় বার বা ৪র্থ বার যখন আপনার ডেঙ্গু হবে তখন সেটা মরণঘাতী ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরে পরিণতের আশংকা অনেক বেড়ে যাবে। ডেঙ্গু হেমোরেজিক মানে হলো ডেঙ্গু জ্বরে শরীরের ভেতরের রক্তনালী থেকে ক্রমাগত চুইয়ে চুইয়ে রক্ত বের হয়ে যাওয়া।

ডেঙ্গুর কোনো ঔষধ নেই, কেবল জ্বর নামাতে প্যারাসিটামল খেতে হয়। ডেঙ্গু রোগীকে মশারির ভেতর থাকতে যাতে তাকে মশা কামড় দিয়ে ভাইরাস ছড়াতে না পারে। সঙ্গে সঙ্গে হাত, পা ঢেকে রাখা পোশাক, মশা তাড়ানোর মেডিসিন ব্যবহার করে আশপাশ মশা মুক্ত রাখতে হবে।

মশাই ডেঙ্গুর বাহক। তাই মশামুক্ত থাকুন, মশামুক্ত রাখুন।

ছাদে, বারান্দায় বাগান করবেন না। এসবে মশা জন্মে, মশা বংশ বিস্তার করে। আপনার শখ পরিবারের বা অন্যের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ডেঙ্গু উপদ্রুত এলাকায় ভ্রমনে বা ডেঙ্গু রোগী পরিদর্শনে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

লেখক: ডা. মো. সাঈদ এনাম, সাইকিয়াট্রিস্ট

মেম্বার, আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন।

ডেঙ্গু ডেঙ্গু জ্বর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম