সেই অতিরিক্ত সচিবের জামিনের জিম্মাদার হলেন নির্যাতিত স্ত্রী!
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:১৩ এএম
অতিরিক্ত সচিব ড. জাকির হোসেনের জামিনের জিম্মদার হয়েছেন মামলার বাদী তার স্ত্রী ফাতেমা জাাহান বারী।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চিকিৎসক স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) ড. জাকির হোসেন। গতকাল রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হলে ঢাকা মহানগর হাকিম তাকে জামিনে মুক্তি দেন।
তবে তার জামিনের জিম্মাদার হয়েছেন মামলার বাদী তার স্ত্রী ডা. ফাতেমা জাহান বারী নিজেই।
মামলা করে জামিনের জিম্মাদার হওয়ার বিষয়ে ফাতেমা জাহান বারী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি স্বামীকে একটি সুযোগ দিতে চান।
তিনি বলেছেন, বাবা-মা তাকে বিয়ে দিয়েছিলেন। তারা এখন অসুস্থ। তাদের অনুরোধে তিনি স্বামীকে একটি সুযোগ দিতে চান। সে জন্যই জিম্মাদার হয়েছেন।
ডা. ফাতেমা বলেন, জাকিরকে তিনি ১৫-২০টি শর্ত দিয়েছেন। প্রতিটি শর্ত মেনে নেয়ায় তিনি জিম্মাদার হয়েছেন। তবে মামলা তিনি প্রত্যাহার করবেন না।
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করার মামলায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) ড. জাকির হোসেনকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে জাকির হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা জাহান বারী পুলিশের হেল্প লাইন ‘৯৯৯’ এ ফোন করে তার ওপর নির্যাতনের কথা জানান।
এরপরই জাকির হোসেনকে বেইলি রোডের সুপিরিয়র অফিসার্স কোয়ার্টারের বাসা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে আছেন।
নির্যাতনের শিকার জাকিরের স্ত্রী ফাতেমা জাহান বারী একজন চিকিৎসক। তিনি এক সময় পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। এখন স্বাস্থ্য অধিদফতরে রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর তাদের বিয়ে জাকির ও ফাতেমার। পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ফাতেমা দ্বিতীয়বার জাতিসংঘ শান্তি মিশনে যান।
মিশন থেকে পাওয়া টাকার প্রতি জাকিরের লোভ জন্মে। তিনি ৭০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এই টাকা দিতে না চাইলে জাকির তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা শুরু করেন।
গত দুই আগস্ট রাত তিনটার দিকে জাকির মারধর করলে তার বাম চোখের ভ্রুর ওপরে কেটে যায়। জখমের স্থানে তার আটটি কসমেটিকস সেলাই করতে হয়। রান্না ঘরের ক্যাবিনেটের দরজা খুলতে গিয়ে দরজার আঘাতে জখম হয়েছে এমনটা বলতে বলতে বাধ্য করেন জাকির।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ৩০ নভেম্বর আবারও যৌতুক দাবি করেন জাকির। তাকে প্রচণ্ড মারধর করে রক্তাক্ত করেন।
