সন্তানের বৈধতা প্রমাণে ১১২ ধারা কেন অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্ট
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২০, ১০:০৭ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সন্তানের বৈধতা-অবৈধতা নিরুপন সংক্রান্ত ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ধারাটি সংশোধনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব এবং আইন মন্ত্রণালয়ে লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১১২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তির মাতার সহিত এক ব্যক্তি আইনত সিদ্ধ বিবাহ কায়েম থাকাকালে অথবা বিবাহবিচ্ছেদের পর দুইশ আশি দিনের মধ্যে তাহার মাতা অবিবাহিতা থাকলে যদি তাহার জন্ম হইয়া থাকে এবং যদি ইহা দেখানো না হয় যে, ওই ব্যক্তি মাতৃগর্ভে আসিয়া থাকিতে পারে অনুরূপ কোনো সময়ে বিবাহিত পক্ষদ্বয়ের পরস্পরের মধ্যে মিলনের পথ উন্মুক্ত ছিলনা, তবে সে যে জন্মিয়াছে এই বিষয় দ্বারা অবশ্যই চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হইবে যে, সে উক্ত ব্যক্তির বৈধ সন্তান।’
সকালে সাক্ষ্য আইনে ১১২ ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান।
পরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সন্তানের পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব পরীক্ষা হতেই পারে। কিন্তু বৈধতা বা অবৈধ ঘোষণা দেয়ার ব্যাপারটি একেবারেই অবান্তর। এর মাধ্যমে বৈধ ও অবৈধ সন্তানের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়। কোন সন্তান যদি আদালতের মাধ্যমে বৈধ প্রমাণিত না হয় তবে তাকে সারাজীবন অবৈধ সন্তানের উপাধি নিয়ে নিগৃহীত হতে হবে, সমাজের কাছে ছোট হতে হবে যা একেবারেই কাম্য নয়। ধর্ষণের ফলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এরকম অসংখ্য ঘটনা নজির রয়েছে।
