Logo
Logo
×

জাতীয়

নগদ টাকা বহনে ‘মানি এস্কর্ট’ সার্ভিস দেবে ডিএমপি

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ১১ মে ২০২০, ০২:১০ পিএম

নগদ টাকা বহনে ‘মানি এস্কর্ট’ সার্ভিস দেবে ডিএমপি

করোনা মোকাবেলায় মানুষকে সচেতন করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে পুলিশ। ফাইল ছবি

আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নগরবাসী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নগদ অর্থ পরিবহনের জন্য ‘মানি এস্কট’ সেবা দিবে পুলিশ। এছাড়া নিরাপদ থাকতে ডিএমপির পক্ষ থেকে ১৫টি পরামর্শও দেয়া হয়েছে নগরবাসীকে।

সোমবার এক বার্তায় ডিএমপি জানায়, পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, লেনদেন ও স্থানান্তর বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে চুরি, ছিনতাই, দস্যুতাসহ মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির অপতৎপরতাও বাড়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া করোনার বৈশ্বিক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। যার জন্য ঢাকার রাস্তাঘাট অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেকটাই ফাঁকা। একটু অসতর্কতার জন্য কষ্টে উপার্জিত অর্থ ছিনিয়ে নিতে পারে দুষ্কৃতিকারীরা।

এ অবস্থায় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন, পরিবহন, ব্যাংকে জমা দেয়া ঢাকা মহানগরীর ভেতরে কিংবা মহানগরীর পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে নগদ অর্থ পরিবহনের জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে ‘মানি এস্কট’ সেবা দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গাড়ি সরবরাহ করতে হবে।

এছাড়া নিরাপদ থাকতে ডিমপির পক্ষ থেকে ১৫টি পরামর্শ দেয়া হয়েছে নগরবাসীকে। বলা হয়েছে- বড় অংকের অর্থ একা বহন করবেন না। সঙ্গে একাধিক বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে রাখুন। আপনার অর্থ বহন সংক্রান্তে কোন তথ্য আগেই অন্যকে জানানো থেকে বিরত থাকুন। পায়ে হেঁটে অথবা রিকশায় অর্থ বহনের পরিবর্তে মোটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে অর্থ বহন করতে হবে।

নগদ অর্থ বহনের আগে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে  দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কেউ দুষ্কৃতিকারীদেরকে জানিয়েছে কি না? দৈনিক নগদ অর্থ বহনের প্রয়োজন হলে মাঝে মাঝে ভিন্ন পথ ব্যবহার করতে হবে, যাতে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকার সুবিধা না পায় দুস্কৃতিকারীরা।

টাকা বহনের সময় ব্যাগ এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে বাইরে থেকে বোঝা না যায়। এতে দুষ্কৃতিকারীরা প্রলুব্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে না। এছাড়া বড় নোট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সকল টাকা একসঙ্গে না রেখে বিভিন্ন জায়গায় যেমন: পকেটে, ব্যাগে, সঙ্গীয় ব্যক্তির কাছে ভাগ করে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

গলি পথ কিংবা নির্জন পথ ব্যবহারের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত ব্যস্ত সড়ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ট্রাফিক সিগন্যাল বা জ্যামে পড়লে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা এবং সিসি ক্যামেরা আছে এমন ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন, ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর সন্দেহজনক কেউ অনুসরণ করছে কিনা তা বুঝার চেষ্টা করা। বড় অংকের অর্থ পরিবহনের কাজটি রাতে না করে দিনের বেলায় সম্পন্ন করার চেষ্টা করা, এটিএম বুথে টাকা তুলতে গেলে বুথের ভেতরে কেউ থাকলে সে বের হওয়ার পর বুথে প্রবেশ করা এবং এটিএম বুথের অভ্যন্তরে আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত পিন নম্বরটি ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া সম্ভব হলে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফারের কাজ চেকের মাধ্যমে সম্পন্ন  এবং বড় অংকের টাকা পরিবহনে প্রয়োজনে পুলিশ এস্কর্ট ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বড় অংকের অর্থ বহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানি এস্কর্ট সেবা নিতে পুলিশের রমনা, মতিঝিল, ওয়ারী ও লালবাগ বিভাগের অর্থ বহনের নিরাপত্তা চেয়ে ০১৭১৩৩৯৮৩১১, ০২-৯৫৫৯৯৩৩, ০২-৯৫৫১১৮৮, ০২-৯৫১৪৪০০ নম্বরে ফোন দিতে হবে।

মিরপুর, তেজগাঁও, উত্তরা ও গুলশান বিভাগে এই সেবার জন্য ০১৭৮৩-৬১১১২৫, ০১৭১৩৩৯৮৬৯২, এবং ০২-৯০৩৬২৬২ নম্বরে কল দিতে হবে। এ নম্বরগুলো ছাড়াও জাতীয় ‘জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে সেবার জন্য আবেদন জানানো যাবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ অর্থ পরিবহণ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম