Logo
Logo
×

জাতীয়

বিএসএমএমইউতে ভিসি পদে যাদের নাম আলোচনায়

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২১, ০৬:৪২ এএম

বিএসএমএমইউতে ভিসি পদে যাদের নাম আলোচনায়

আগামী ২৩ মার্চ শূন্য হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের পদ। দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কে হবেন পরবর্তী উপাচার্য, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল চিকিৎসক মনে করছেন, বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া পুনর্নিয়োগ পেতে পারেন। তবে বেশিরভাগের মত ভিন্ন। তারা বলছেন, উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে অনেকেই যোগাযোগ করছেন। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী যার ওপর আস্থা রাখবেন, তিনিই উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান উপাচার্য ছাড়া আলোচনায় এগিয়ে আছেন সাবেক উপ-উপাচার্য চক্ষুবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি এর আগে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। 

তা ছাড়া তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। দ্বিতীয় অবস্থানেই রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সিন্ডিকেট সদস্য নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন। তিনি ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ছাত্রজীবন থেকেই নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। 

এমনকি নবম বিসিএসের মাধ্যমে চাকরিজীবন শুরু করলেও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের সেবা দেওয়ার অপরাধে তৎকালীন সরকার তাকে সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি অন্যতম প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাই তিনি দায়িত্ব পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

এ ছাড়া আলোচনায় আছেন সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহিদুল্লাহ শিকদার, বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শহিদুল্লা, বর্তমান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহানা রহমান, সার্জারি বিভাগের ডিন জুলফিকার রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, বর্তমান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এএসএম আতিকুর রহমান প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষের শূন্যপদ পূরণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শতাংশ সিনিয়র অধ্যাপককে নিয়ে গত বছর একটি পুল গঠন করা হয়েছে। তবে আমি মনে করি, কেবল সিনিয়রিটির ভিত্তিতে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া ঠিক নয়। এই পদে দায়িত্ব পালন করতে হলের প্রভোস্ট, ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান ইত্যাদি পদে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। তা ছাড়া চিন্তা-চেতনার দিকটিও দেখা হয়। কেননা ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ধরনের জনবল চালাতে হয়। তাই ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ক্যাপাবিলিটি’, অতীত রেকর্ড, অভিজ্ঞতা এবং একাডেমিক এক্সিলেন্স বিশেষ করে সততার দিকটি দেখা জরুরি। নইলে বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর পরিবর্তে তারাই দুর্নাম কামাই করবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়েও অচলাবস্থা তৈরির শঙ্কা থাকে।  

বিএসএমএমইউ উপাচার্য

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম