|
ফলো করুন |
|
|---|---|
থ্যালাসেমিয়া কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। বাবা অথবা মা, অথবা বাবা- মা উভয়েরই থ্যালাসেমিয়ার জিন থাকলে বংশানুক্রমে এটি সন্তানের মধ্যে ছড়ায়। থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী বা বাহকরা সাধারণত রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকেন। এতে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব থ্যালাসেমিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সালাহ্উদ্দীন শাহ্ এসব তথ্য জানান।
থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব থ্যালাসেমিয়া ও রোটারি ক্লাব অব তুরাগ উত্তরার যৌথ এক ভার্চুয়াল সেমিনারে শুক্রবার রাতে সায়েন্টেফিক পেপার উপস্থাপনকালে অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দীন শাহ্ বলেন, থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী সাধারণত রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে।
তবে এই রোগ কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। জিনগত ত্রুটির কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ লোক থ্যালাসেমিয়া রোগের জিন বহন করছে এবং প্রায় ৪ শতাংশ লোক থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত বলে ওই পেপারে উল্লেখ করেন অধ্যাপক সালাহ্উদ্দীন শাহ্।
তিনি আরও বলেন, বাবা অথবা মা এর যেকোন একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়ার বাহক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শতকরা ৫০ ভাগ। আর যদি বাবা এবং মা দুইজনই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হয় তবে তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা শতকরা ২৫ ভাগ, থ্যালাসেমিয়ার বাহক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শতকরা ৫০ ভাগ এবং সন্তান পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে জন্মগ্রহণ করার সম্ভাবনা রয়েছে শতকরা ২৫ ভাগ।
অধ্যাপক সালাহ্উদ্দীন শাহ্ বলেন, এই রোগের ভয়াবহতা ও এই রোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এটি ভবিষ্যতে মহামারী আকার ধারণ করবে বিবেচনা করে সরকার ঘোষণা দিয়েছে ২০২৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত একটি দেশ হিসেবে গড়ে তোলার।
