লঘুচাপটি রূপ নিয়েছে নিম্নচাপে, সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা জারি
বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। সেটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সে ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মোচা’।
সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। নিম্নচাপের কারণে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, নিম্নচাপ কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৩০ মাইলেরও কম। তবে আরও ঘনীভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ বাড়বে।
নিম্নচাপটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
আবাহওয়া অফিস জানায়, নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ১১ মে পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে বাতাসের বেগ দাঁড়ায় ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। বাতাসের গতিবেগ ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হলে তাকে বলে প্রবল ঘূর্ণিঝড়। গতিবেগ বেড়ে ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হলে তাকে হারিকেনের গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বলে। আর তার চেয়ে বেশি গতিবেগ হলে তাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়।
নিম্নচাপটির গতি-প্রকৃতি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটা মূলত মিয়ানমার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ বদলানোর নজির রয়েছে বলে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
লঘুচাপটি রূপ নিয়েছে নিম্নচাপে, সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা জারি
যুগান্তর প্রতিবেদন
১০ মে ২০২৩, ০৮:২৩:২৯ | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। সেটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সে ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মোচা’।
সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। নিম্নচাপের কারণে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, নিম্নচাপ কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৩০ মাইলেরও কম। তবে আরও ঘনীভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ বাড়বে।
নিম্নচাপটি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
আবাহওয়া অফিস জানায়, নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ১১ মে পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে বাতাসের বেগ দাঁড়ায় ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। বাতাসের গতিবেগ ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হলে তাকে বলে প্রবল ঘূর্ণিঝড়। গতিবেগ বেড়ে ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হলে তাকে হারিকেনের গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বলে। আর তার চেয়ে বেশি গতিবেগ হলে তাকে সুপার সাইক্লোন বলা হয়।
নিম্নচাপটির গতি-প্রকৃতি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটা মূলত মিয়ানমার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ বদলানোর নজির রয়েছে বলে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023