|
ফলো করুন |
|
|---|---|
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি) দেশে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল গাইডলাইন অন ডায়াবেটিস মেলাইটাস প্রকাশ করেছে।
গাইডলাইনটি তৈরিতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ও জাইকা বাংলাদেশ সার্বিক সহায়তা করেছে। দেশের প্রতিষ্ঠিত ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞগণ এতে যুক্ত ছিলেন। রোববার রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আকতার হোসেন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাশেদা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র প্রতিনিধি জনাব কোমোরি তাকাসিসহ দেশের বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের দুইশ জন চিকিৎসক।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, গাইডলাইনটি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান উন্নয়নে যেমন সহযোগিতা করবে তেমনি দেশে উন্নতমানের ডায়াবেটিস সেবা ও সচেতনতা কার্যক্রম বাড়াতে সমর্থ হবে। ফলে দেশের ১ কোটি ৩১ লাখ ডায়াবেটিক রোগী ও তাদের পরিবারের মানুষজন শুধু উপকৃত হবেন না, কমে আসবে স্বাস্থ্য বাজেটের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আর্থিক চাপ। উপকৃত হবে দেশের সব মানুষ।
অধ্যাপক রোবেদ আমিন জানান, প্রিন্ট কপির পাশাপাশি অনলাইন অ্যাপেও গাইডলাইনটি পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, দেশে ৯০ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে অসংক্রামক রোগ তথা এনসিডিসির কারণে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ মারা যাচ্ছে ডায়াবেটিসে। তাই অতিদ্রুত নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশব্যাপী গাইডলাইনটি প্রচারণা ও বিতরণের ব্যবস্থা করবে।
