৩ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ট্যারিফ কেনাসহ ১৪ প্রস্তাব অনুমোদন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:০১ পিএম
৪ বিদ্যুত কেন্দ্রের ট্যারিফ কেনাসহ ১৪টি প্রস্তাব অনুমোদন। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ট্যারিফ কেনাসহ ১৪টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে। সেখানে রাশিয়া থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম এবং বিভিন্ন দেশ থেকে এক লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি টিসিবির জন্য কেনা হবে তিন কোটি ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ছয় হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল। এতে মোট ব্যয় দাঁড়াবে ২৩ হাজার ৮২ কোটি টাকা।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাইদ মাহবুব খান।
বৈঠকে দিনাজপুরে বোচাগঞ্জ উপজেলা ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেনা হবে কনসোটিয়াম অব গ্রিন প্রগেস রিনিউভেল বি. ভি অ্যান্ড আইআরবি অ্যাসোসিয়েট লি. থেকে। ২০ বছর মেয়াদে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০.৮৭ টাকা পড়বে। এ জন্য আনুমানিক ৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া কক্সবাজারের সদর উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি কেনা হবে কনসোটিয়াম অব ডিটরোলিক এসএ ইন্টারন্যাশনাল পিটিসি অ্যান্ড পাওয়ারনেটিক এনার্জি লি. থেকে। ২০ বছর মেয়াদে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০.৯২ টাকা পড়বে। এতে ৩ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
একই জেলার চকোরিয়ায় ২২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। কেনা হবে জেটি নিউ এনার্জি কোম্পানি লি. কাছ থেকে। ২০ বছর মেয়াদে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১৩.৪১ টাকা পড়বে। এতে আনুমানিক ১২ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) কর্তৃক ডিজাইন, সরবরাহ, প্রতিস্থাপন ও টেস্টিং সংস্কারের কাজের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪৬১ কোটি টাকা।
গম আমদানি: এছাড়া রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে সরকার টু সরকার পদ্ধতিতে ৩ (তিন) লক্ষ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৩ কোটি টাকা টাকা। প্রতিকেজি গমের মূল্য ৩৪.৪৩ টাকা পড়বে।
টিসিবির জন্য পণ্য ক্রয়: ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) স্থানীয়ভাবে ৬ হাজার মে.টন মসুর ডাল ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। কেনা হবে সাবনাম ভেজিটেবল ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে। মোট ব্যয় হবে ৫৮ কোটি টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের মূল্য পড়বে ৯৬. ৮৫ টাকা। পাশাপাশি এ প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ৭৯ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন ১৫৯.৮৫ টাকায় সরবরাহ করবে।
অপর প্রস্তাবে টিসিবি তিন কোটি ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি আনা হবে মালয়েশিয়া থেকে। এতে খরচ হবে প্রায় ৪৩৪ কোটি টাকা। ২ লিটার পেট বোতলে আমদানি করা হবে। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৫৫. ৯৩ টাকা।
সার আমদানি: বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন থেকে এক লাখ মে.টন এমওপি সার আমদানি করবে। এতে ব্যয় হবে ৩৫৫ কোটি টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের মূল্য পড়বে ৩২৩ মার্কিন ডলার।
সভায় মরক্কো থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ২৩১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম ৫২৬ মার্কিন ডলার।
এছাড়া মরক্কো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন টিএসপি সার ৩৮৯.৭৫ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১২৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্তৃক ‘যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও শাহ মখদুম বিমানবন্দর, রাজশাহী-এর রানওয়ে সারফেসে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ’-এর পূর্ত কাজ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৭৭২ কোটি টাকা। আর ‘হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখেরজায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক ৪-লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। ভারতের এলইএ অ্যাসোসিয়েটস সাউথ এশিয়া প্রাইভেট লি. কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় দাঁড়াবে ৫৩ কোটি টাকা।
