অর্থবছরের দুই মাস
এডিপি বাস্তবায়নের হার ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ
অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হার ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। গত অর্থবছর একই সময়ে বাস্তবায়ন হয়েছিল ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। গত দুই মাসে খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। তবে ছয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এ সময় এক টাকাও খরচ করতে পারেনি।
মঙ্গলবার বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একক মাস হিসাবে আগস্টে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা।
মাস হিসাবে এ বাস্তবায়নের হার ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। অবশ্য আগের বছরের একই সময়ে এ হার ছিল ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ছয়টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এ দুই মাসে এক টাকাও খরচ করেনি। এর মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের ২৪টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ১২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। কিন্তু কোনো টাকাই খরচ করেনি দুই মাসে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৯৬টি প্রকল্পের বিপরীতে এডিপি বরাদ্দ ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু দুই মাস অতিক্রম হলেও এ মন্ত্রণালয় এক টাকাও খরচ করতে পারেনি। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ১৭টি প্রকল্পের বিপরীতে এডিপি বরাদ্দ ২ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা। খরচের ক্ষেত্রে একই অবস্থা।
জনপ্রশাসনের ১৬টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ৯৭২ কোটি টাকা। তবে খরচ করেছে শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১৬ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৭৪৮ কোটি টাকা, খরচের খাতা শূন্য।
গত অর্থবছর এক টাকাও খরচ করতে না পারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবারও খরচের খাতাই খুলতে পারেনি। আইন ও বিচার বিভাগের ৫ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ১৬৩ কোটি টাকা, খরচ হয়নি কিছুই।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আইএমইডি’র কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্মাণ উপকরণের দাম বাড়ায় অনেক প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। প্রকল্প ব্যয়ে সরকারের কৃচ্ছ্রসাধন এবং তহবিলের সীমিত ছাড়ও এডিপি বাস্তবায়ন হার কমিয়েছে।
চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় অগ্রাধিকার অনুসারে বিভিন্ন প্রকল্পকে এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে সরকার। সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত প্রকল্পগুলোকে রাখা হয়েছে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে। এসব প্রকল্পের জন্য অর্থ ছাড় সাময়িকভাবে বন্ধ আছে।
এছাড়া ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত প্রকল্পগুলোর জন্য ৭৫ শতাংশ অর্থ ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। আর ‘এ’ ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোর জন্য নির্ধারিত তহবিলের শতভাগ ছাড় করা যাবে।
চলতি অর্থবছর ১ হাজার ৩৯২টি প্রকল্পের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের (এডিপি) বরাদ্দ ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা, বিদেশি অর্থায়ন ৯৪ হাজার কোটি টাকা। বাকি ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন।
এডিপি বাস্তবায়নের হার ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ
অর্থবছরের দুই মাস
যুগান্তর প্রতিবেদন
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:৩৩:১৫ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হার ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। গত অর্থবছর একই সময়ে বাস্তবায়ন হয়েছিল ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। গত দুই মাসে খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। তবে ছয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এ সময় এক টাকাও খরচ করতে পারেনি।
মঙ্গলবার বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একক মাস হিসাবে আগস্টে ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা।
মাস হিসাবে এ বাস্তবায়নের হার ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। অবশ্য আগের বছরের একই সময়ে এ হার ছিল ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ছয়টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এ দুই মাসে এক টাকাও খরচ করেনি। এর মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের ২৪টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ১২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। কিন্তু কোনো টাকাই খরচ করেনি দুই মাসে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৯৬টি প্রকল্পের বিপরীতে এডিপি বরাদ্দ ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু দুই মাস অতিক্রম হলেও এ মন্ত্রণালয় এক টাকাও খরচ করতে পারেনি। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ১৭টি প্রকল্পের বিপরীতে এডিপি বরাদ্দ ২ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা। খরচের ক্ষেত্রে একই অবস্থা।
জনপ্রশাসনের ১৬টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ৯৭২ কোটি টাকা। তবে খরচ করেছে শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১৬ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৭৪৮ কোটি টাকা, খরচের খাতা শূন্য।
গত অর্থবছর এক টাকাও খরচ করতে না পারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবারও খরচের খাতাই খুলতে পারেনি। আইন ও বিচার বিভাগের ৫ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ১৬৩ কোটি টাকা, খরচ হয়নি কিছুই।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আইএমইডি’র কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্মাণ উপকরণের দাম বাড়ায় অনেক প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। প্রকল্প ব্যয়ে সরকারের কৃচ্ছ্রসাধন এবং তহবিলের সীমিত ছাড়ও এডিপি বাস্তবায়ন হার কমিয়েছে।
চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় অগ্রাধিকার অনুসারে বিভিন্ন প্রকল্পকে এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে সরকার। সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত প্রকল্পগুলোকে রাখা হয়েছে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে। এসব প্রকল্পের জন্য অর্থ ছাড় সাময়িকভাবে বন্ধ আছে।
এছাড়া ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত প্রকল্পগুলোর জন্য ৭৫ শতাংশ অর্থ ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। আর ‘এ’ ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোর জন্য নির্ধারিত তহবিলের শতভাগ ছাড় করা যাবে।
চলতি অর্থবছর ১ হাজার ৩৯২টি প্রকল্পের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের (এডিপি) বরাদ্দ ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা, বিদেশি অর্থায়ন ৯৪ হাজার কোটি টাকা। বাকি ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023