সরকারি ক্রয়ে নারীদের অংশগ্রহণ টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৪ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশের সকল খাতে অধিক সংখ্যক নারীর অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ফলে কর্মসংস্থান, উপার্জন থেকে শুরু করে ব্যবসায়, শিল্পেখাতে ও সরকারি চাকুরি ক্ষেত্র মহিলাদের উপস্থিতি ব্যপক বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের সাফল্য পুরুষের চেয়েও বেশি লক্ষ্যনীয়। 

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সিপিটিইউ সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। 
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)-এর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) এটির আয়োজন করে। 

ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। 

সিপিপিটইউ মহাপরিচালক মো. শোহেলের রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ৩০ জনের বেশি নারী দরপত্রদাতা ও ব্যবসায়িক উদ্যোক্তাসহ মোট ৫০ জন অংশ নেন। বিশ্বব্যাংকের প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট আরাফাত রহমান কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, নারীরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যপকভাবে যুক্ত হচ্ছেন। শতভাগ নারীই কর্মে নিযুক্ত এবং কাউকেই বেকার বলা যাবে না, যা পুরুষদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। নারীরা উদ্যোগ নিলে পুরুষের চেয়ে ভালো করতে পারেন। মহিলাদেরকে অধিক সংখ্যায় ব্যবসায় ও সরকারি কাজে এগিয়ে আসতে হবে। 

শোহেলের রহমান চৌধুরী বলেন, সিপিটিইউ দেশে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) তথা সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা বাস্তবায়ন তদারকি করছে। এরই অংশ হিসাবে ই-জিপিকে আরো কার্যকর করার উদ্দেশ্যে সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য মডিউল সংযোজন করা হয়েছে। ফলে টেন্ডার পরিকল্পনা থেকে চুক্তি বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াই এখন অনলাইনে করা যায়। 
 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন