বারে ছাত্রলীগের হামলা-ভাঙচুরের পাঁচ দিনেও কেউ গ্রেফতার হয়নি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫০ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
হোটেল জাকারিয়া ইন্টারন্যাশনালের বারে হামলা, ভাংচুর ও লুটের ঘটনায় পাঁচ দিনেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ছাত্রলীগ তিতুমীর কলেজ শাখার কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। মদ্যপানের পর বিল চাওয়ায় ওই বারে শনিবার মধ্যরাতে হামলা, ভাংচুর ও লুটের ঘটনা ঘটে। পরদিন বনানী থানায় মামলা করে বার কর্তৃপক্ষ।
মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কয়েক লাখ টাকা ও ১২০ বোতল মদ লুটের অভিযোগ করা হয়েছে। তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়ল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, হামলাকারীরা সভাপতি রিপন মিয়ার সমর্থক।
তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান সাগরের নেতৃত্বে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় আরও ছিলেন- কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন রাহুল, সুলতান ও শাওন, সহ-সম্পাদক শাওন ও সাব্বির, উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নিলয় সেন, উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মামুন, কর্মী কাউসার, শাহিন মাতব্বর প্রমুখ।
বনানী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমরা ১২-১৩ জনকে চিহ্নিত করেছি। তাদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার আনুমানিক রাত এগারোটার দিকে সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী জাকারিয়া ইন্টারন্যাশনালের বারে মদ খেতে যান। মদ খাওয়া শেষে বিল দেয়ার কথা বললে তারা বারের ম্যানেজারসহ অন্য স্টাফদের ওপর হামলা করে। তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন বার ম্যানেজার। পরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়লকে ফোনে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী এসে বারের গেট তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
বারের কর্মচারী উজ্জল মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রলীগ নেতারা বারে হামলা চালিয়ে ক্যাশ ভেঙে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তারা ৭৫ ইঞ্চি একটি টিভি, ২০ থেকে ২৫টি চেয়ার ভাঙচুর করে। বারে থাকা প্রায় চার লাখ টাকার ৪০ বোতল ফরেন হুইস্কি ও প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকার ৮০ বোতল কেরুর মদ লুট করে।
তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া বলেন, এরকম ঘটনা আমাকে বনানী থানার ওসি জানিয়েছেন; কিন্তু তারা (রিপনের অনুসারী) ঘটনা ঘটিয়েছে ক্যাম্পাসের বাইরে। এটা তাদের ব্যক্তিগত অপকর্ম। এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই।
