অর্থপাচারের অভিযোগ: গিরিধারী লাল মোদিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৩১ পিএম
গিরিধারী লাল মোদি। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আলোচিত হুন্ডি কারবারি, উত্তরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান গিরিধারী লাল মোদি ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার সংস্থার উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে হুন্ডির মাধ্যমে দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উইভিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গণেশ লাল মোদি, উত্তরা ট্রেডার্সের সেলস ম্যানেজার অজয় চক্রবর্তী, কর্মচারী লিয়াকত আলী খান ও গাড়িচালক আলী হোসেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- ২০০৫ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের উত্তরা সেলস সেন্টার থেকে টাকা আনতে চাচাতো ভাই গলেশ লাল মোদি, কর্মচারী লিয়াকত আলী খান ও গাড়িচালক আলী হোসেনকে পাঠান গিরিধারী লাল মোদি। পরদিন ওই সেলস সেন্টার থেকে একটি স্যুটকেস ও কার্টনভর্তি টাকা বের করে গাড়িতে তোলা হয়। স্যুটকেস ও কার্টনের ওপর এক বস্তাভর্তি জাম্বুরা ও কিছু কচু রেখে গাড়ির ব্যাকডালা আটকে তারা গাড়িটি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
ফেরিযোগে নদী পার হয়ে মানিকগঞ্জ হয়ে ঢাকায় আসার পথে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় গাড়িটি আটক করে পুলিশ। গাড়ি তল্লাশিকালে ব্যাকডালা খুলে স্যুটকেস ও কার্টনভর্তি টাকা জব্ধ করা হয়। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির যাত্রী লিয়াকত আলী খান ও চালক আলী হোসেনকে।
জানা গেছে, সাভার থানায় পৌঁছার আগেই আশুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর ইব্রাহীম খলিল ও আমিনুল ইসলাম সোর্সদের সহযোগিতায় আটক করা গাড়ি থেকে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কৌশলে সরিয়ে ফেলে। আত্মসাতের উদ্দেশ্যে তারা টাকাগুলো সোর্সদের গাড়িতে তুলে দেয়। বিষয়টি জানাজানির পর তোলপাড় শুরু হলে সাভার থানা পুলিশ পরে ওই টাকা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত মামলা চলছে।
মামলার এজহারে আরও বলা হয়েছে, দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে গাড়ি থেকে জব্ধ করা দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকার উৎস সম্পর্কে গিরিধারী লাল মোদি ও তার চাচাতো ভাই গণেশ লাল মোদি কোনো কাগজপত্র বা প্রমাণাদি হাজির করতে পারেননি। এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে আসামিরা অবৈধভাবে অর্জিত এ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে যশোর থেকে ঢাকায় পাচার করছিলেন। একই সঙ্গে তারা এই অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন; যা দুদকের অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।
