|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন, কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনসহ বেশ কিছু প্রকল্প উদ্বোধন করতে ঢাকা থেকে আকাশপথে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা হন তিনি।
এখানে তিনি ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে রয়েছে চান্দেরপাড়া এলাকায় ঝিনুকের আদলে নির্মিত আইকনিক রেলস্টেশন ও মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে নির্মিত ১২শ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র।
রেলস্টেশন উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। বিকালে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী রেলস্টেশনসহ ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এসব প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৮৮ হাজার কোটি টাকা।
১৫ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মাতারবাড়ীর ১২শ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযুক্ত, বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাটে ৫৯৫ মিটার পিসি বক্স গার্ডার ব্রিজ, কক্সবাজার সদরের খাল লাইনিং অ্যাপ্রোচ রোড ও ব্রিজ।
দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের চিত্রও পাল্টে গেছে। বিশেষ করে সাগর ছোঁয়া রানওয়ে, মুক্তার রঙে ঝিনুকের মতো রেলস্টেশন, মেরিন ড্রাইভ, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ নানারকম প্রকল্প নিয়ে কক্সবাজারে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চোখে পড়ার মতো। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের এই জেলায় ছোট-বড় ৭৭টি উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা।
