রাষ্ট্রপতির জায়গা কোথায় ছাত্রসমাজ নির্ধারণ করবে: সারজিস আলম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মতো মানুষ যদি বলেন শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের ডকুমেন্টস তিনি রাখেননি, তাহলে তার জায়গা কোথায় হওয়া দরকার সেটা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ নতুন করে নির্ধারণ করবে।
সোমবার রাজধানীর বিএমএ ভবনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী দলের নেতারা এতে অংশ নেন।
সারজিস আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর আমরা হয়তো ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে যথাযথ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে পারিনি। সে অর্থে বিপ্লবী সরকার বা জাতীয় সরকার গঠন করতে পারিনি। যে কারণে তার (রাষ্ট্রপতি) মতো মানুষ এখনো প্রেসিডেন্ট পদে বসে আছেন। আজকে তিনি বলছেন, শেখ হাসিনার রিজাইন পেপার নাকি তিনি দেখেননি।
সারজিস আলম বলেন, যারা দেখেও অনেক কিছু না দেখার ভান করছেন তাদের আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, হাইকোর্ট, সচিবালয়সহ বিভিন্ন অফিস থেকে অনেকে অনেক কিছু নতুন করে চিন্তা করছিল। বাংলাদেশকে নাকি ব্ল্যাক আউট করা হবে। আমরা বিশ্বাস করি ও স্পষ্ট করে বলি, আমাদের মধ্যে ছোট ছোট মনোমালিন্য বা বিভাজন থাকতে পারে কিন্তু আবার যদি পুরো দেশের স্বার্থ সামনে আসে তাহলে আমার যেসব ভাই হাসপাতালে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে, হাত হারিয়েছে, চোখের আলো হারিয়েছে তারা আবারও জীবন দিতে রাজপথে নামার জন্য প্রস্তুত আছে। সুতরাং হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম বা ঢাকার গুলিস্তান বলি, বিন্দুমাত্র কেউ যদি আজকের পর থেকে ওই খুনিদের পুনর্বাসনের জন্য চেষ্টা করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামবে।
আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনে জনগণ অতিষ্ঠ ছিল : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের সংস্কার কার্যক্রমের ধরন ও প্রক্রিয়া কী হবে এবং কতদিনের মধ্যে সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করবে, তা অতিদ্রুত প্রকাশ করবে এবং জাতীয় নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।
দলের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট মো. জয়নাল আবেদীন, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসানাত আব্দুল কাইয়ূম, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, এনডিএম’র সভাপতি ববি হাজ্জাজ, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহাম্মদ সারজিস আলম, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, ড. নাজমুল হায়দার কলিমুল্লাহ, প্রফেসর ড. আসিফ মিজান, সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।
