আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিভ নির্মাণকারী শিল্পীর বাড়িতে আগুন, যা বললেন ফারুকী

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৩ পিএম

মানিকগঞ্জে চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগ দায়ী– এমন ইঙ্গিত করে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ওরা জানে না, বাংলাদেশের মানুষ জুলাই বুকে নিয়েই সামনে আগাচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেয়। তার একটি ঘর পুড়ে গেছে। এ নিয়ে বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে পোস্ট দেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা ফারুকী লিখেছেন, ‘শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে যারা হামলা করেছে, তাদের প্রত্যেককে ধরার জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি পুলিশের আইজিকে পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
তিনি লেখেন, ‘গত কয়েকদিন জুলাইয়ে বিতাড়িত আওয়ামী লীগ অনলাইনে শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষকে আক্রমণের উসকানি দিচ্ছিল, তাদের ভাষ্যে ‘হাসিনার এফিজি বানানোর অপরাধে’! এদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।’
উপদেষ্টা ফারুকী লেখেন, ‘পাহাড় থেকে সমতল জুড়ে বাংলাদেশ মাত্রই এক অভুতপূর্ব মৈত্রীর উৎসব শেষ করল। এক অন্য রকম আবেশ সবার মনে। আর এই সময়ই ওরা আক্রমণ করে এটা মনে করিয়ে দিলো জুলাই চলমান। কিন্তু ওরা জানে না বাংলাদেশের মানুষ জুলাই বুকে নিয়েই সামনে আগাচ্ছে, বাংলাদেশের বাংলাদেশের জনগনের ঐক্যের সামনে এরা তুচ্ছ।’
এবিষয়ে চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র বলেন, ‘আমিসহ আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ মুহূর্তে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ চিত্রশিল্পী জানান, দুই থেকে তিনদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে উদ্দেশে করে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এর জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। আর রাতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। আগুনে তার বিভিন্ন মূল্যবান চিত্রকর্ম পুড়ে গেছে বলে জানান মানবেন্দ্র।
জানা গেছে, আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িটি ছিল আধাপাকা টিনের ঘর। সেখানো মানবেন্দ্রের শিল্প কর্মের যাবতীয় সরঞ্জামাদি ছিল।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আমান উল্লাহসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাড়ি একই এলাকায়। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার মুখাকৃতি তৈরির ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে।’