মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে জাপানি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সই
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২১ এএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে জাপানি দুই উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে চুক্তি সই হয়। এ নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি শুধু একটি অবকাঠামোগত প্রকল্প নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি কৌশলগত বিনিয়োগ।
তিনি বলেন, বন্দরটি চালু হলে প্রায় এক লাখ ডেডওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বড় জাহাজ ভিড়তে পারবে। ফলে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য বন্দরের ওপর চাপ কমবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও ট্রান্সশিপমেন্ট হাবে পরিণত হবে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) এবং জাপানের দুটি শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পেন্টা-ওশেন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং টিওএ করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে চুক্তি সই হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান নাওকি তাকাহাশি এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহিদে ইচিগুচি।
মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পটি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)-এর আর্থিক সহায়তায় (ঋণ), সরকারি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি এবং ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার জেটি নির্মাণ হবে। এ ছাড়া টার্মিনাল ভবন, পেভমেন্ট, সি ওয়াল, রিটেইনিং ওয়াল, ভূমি উন্নয়ন, ড্রেজিং, সৌরবিদ্যুৎসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ হবে।
