Logo
Logo
×

জাতীয়

রাখাইনে সহায়তা পাঠাতে সংশ্লিষ্ট দেশের সম্মতি প্রয়োজন: জাতিসংঘ মুখপাত্র

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১২ পিএম

রাখাইনে সহায়তা পাঠাতে সংশ্লিষ্ট দেশের সম্মতি প্রয়োজন: জাতিসংঘ মুখপাত্র

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে গেলে জাতিসংঘকে দুদেশের সরকারের অনুমতি পেতে হবে। সোমবার বাংলাদেশে জাতিসংঘের এক মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন।

মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘের আইনি বাধ্যবাধকতা আছে যে, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের অনুমতি ছাড়া সীমান্ত পেরিয়ে কোনো মানবিক সহায়তা পাঠানো যাবে না। এ অনুমতি না পেলে, এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

রোববার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোর খোলার জাতিসংঘের প্রস্তাবে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের কিছু শর্ত আছে উল্লেখ করলেও, বিস্তারিত বলেননি তিনি।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটরের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে জাতিসংঘ। রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ যেন রোহিঙ্গাদের চাপ মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য জাতিসংঘ ও সহযোগীরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা পেতে কাজ করছে।

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমায়ের রাখাইন প্রদেশ কৌশলগত কারণে চীন, ভারতসহ এ অঞ্চলের সব দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কয়েক মাস ধরে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রাখাইন। বিরোধপূর্ণ এলাকায় ঢুকতে পারছে না জাতিসংঘ। পূর্বাভাস রয়েছে-এ বছর খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাবে, তাই মানবিক বিপর্যয় আসন্ন। সেখানে ত্রাণ পৌঁছাতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। সীমান্তে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে মানবিক করিডোর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত সরকারকে পুনর্বিবেচনার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

তাদের মতে, জাতিসংঘের এই আহ্বানে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার নানামুখী ঝুঁকি আছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা, প্রতিবেশী ভারত ও চীনের অনাপত্তি, করিডোর পরিচালনা এবং নিরাপত্তার বিষয় নিশ্চিত না করতে পারলে ভুগতে হতে পারে বাংলাদেশকে। তাই জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত-এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনার কথা বলছেন তারা।

নীতিগত এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। এতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখছে তারা। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে দলগুলো।

এদিকে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষে রাখাইনে হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং সেখানে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ এখনো অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। সবমিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে অন্তত ১৩ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

মিয়ানমার রাখাইন বাংলাদেশ জাতিসংঘ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম