ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেশের অন্যতম প্রধান গণমাধ্যম দৈনিক যুগান্তর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মানুষের আস্থা-বিশ্বাস ও ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে চলছে। মুদ্রণ ও অনলাইন মাধ্যমে বাংলাদেশসহ দুনিয়াব্যাপী পাঠকের হৃদয় জয় করেছে যুগান্তর।
এবার সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউব চ্যানেলে এক মিলিয়ন অর্থাৎ দশ লাখ সাবস্ক্রাইবারের মাইলফলক স্পর্শ
করেছে যুগান্তর। মাল্টিমিডিয়া বিভাগের এই অর্জনকে
কেক কেটে উদযাপন করেছে যুগান্তর পরিবার।
এ উপলক্ষ্যে
শনিবার বিকালে দৈনিক যুগান্তর কনফারেন্স রুমে ঘরোয়া এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে
বক্তৃতা করেন যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার। মাল্টিমিডিয়া ইনচার্জ অমিত হাসান
রবিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- যুগান্তরের উপসম্পাদক আহমেদ দীপু, এহসানুল
হক ও বিএম জাহাঙ্গীর, প্রধান বার্তা সম্পাদক আবদুর রহমান, নগর সম্পাদক মিজান মালিক,
প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ করিম, যুগান্তর অনলাইন এডিটর হাসান শরীফ, অনলাইন ইনচার্জ আতাউর
রহমান, মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের সাংবাদিকরা।
স্বাগত বক্তব্যে
যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার বলেন, সারাদিন সংকটের খবর, কষ্ট-বেদনার খবর শুনি-
ভালো খবরের জন্য হাহাকার করি, ভালো খবর তো পাওয়াই যায় না। ভালো খবরের সংকটের মধ্যেই
শুভসংবাদ হলো যুগান্তর মাল্টিমিডিয়া এক মিলিয়ন ক্রস করেছে। এই শুভ খবরের সঙ্গে যারা
যুক্ত সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি।
যুগান্তর সম্পাদক
আরও বলেন, যুগান্তর মাল্টিমিডিয়া টিম এখন একটি তরুণ টিম। সেই তরুণদের হাত ধরে বহুদূর
এগিয়ে যাবে। বাবারা চলে গেলে যেমন ছেলেরা দায়িত্ব নেয়, তেমনি এই তরুণরা একদিন জাতির
দায়িত্ব নেবে।
মুক্তিযুদ্ধের
চেতনা ও মাতৃভূমির স্বার্থ সবার ওপরে রেখে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে আবদুল হাই শিকদার
বলেন, দেশ, জাতি ও যুগান্তর- তিনটিকে এক রেখায় সমন্বয় করে যদি রাখতে পারি তাহলে সাফল্য
দরজায় এসে কড়া নাড়বে। সাফল্যর পেছনে দৌঁড়াতে
হয় ও ঘাম ঝরাতে হয়। এই তরুণ সাংবাদিকদের সেই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সক্ষমতা আছে।
চেগুয়েভারার
উক্তি স্মরণ করে যুগান্তর সম্পাদক বলেন, আমাদের প্রতিটি অ্যাকশন হলো যুদ্ধ ঘোষণা। এই
যুদ্ধ অকল্যাণের বিরুদ্ধে, সকল প্রকার সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে ও দেশের স্বার্থে। এক কথায় দেশ সবার ওপরে।
বক্তব্যর শেষে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অভিযান কবিতা থেকে প্রথম অংশ তুলে ধরে আবদুল হাই শিকদার
বলেন ‘নতুন পথের যাত্রা-পথিক চালাও অভিজান! উচ্চকণ্ঠে উচ্চার আজ-মানুষ মহীয়ান!’, ‘চারিদিকে
আজ ভীরুর মেলা, খেলবি কে আয় নতুন খেলা?’ ‘জোয়ার জলে ভাসিয়ে ভেলা বাইবি কে উজান?’
