রাজস্ব নীতি অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলসহ ৪ দাবি ক্যাডারদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা খসড়া অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়াও এমবিআর বিলুপ্ত না করাসহ আরও তিনটি দাবি জানিয়েছে আয়কর ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও রাজস্ব ভবনে বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের জরুরি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আয়কর ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচের অন্তত ২০ জন কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন।
সভায় মোটা দাগে ৪টি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা খসড়া অধ্যাদেশ বাতিল, এনবিআর বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত বাতিল, অর্থ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ২ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আলোচনার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং দুই ক্যাডারের জরুরি সাধারণ সভায় পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ।
আয়কর ক্যাডারের কর্মকর্তারা বলেন, খসড়া প্রণয়নের আগে শ্বেতপত্র কমিটির সুপারিশ ও রাজস্ব খাত সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আমলে নেয়া হয়নি। এনবিআর থেকে যেই খসড়া পাঠানো হয়েছে, নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ক্যাডারের লোকজন তা পুরোপুরি উল্টে দিয়েছে। রাজস্ব নীতি প্রণয়ন ও রাজস্ব আদায়ের অভিজ্ঞতাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেন, রাজস্ব খাত সংস্কারের জন্য সরকার পরামর্শক কমিটি গঠনের পর দুই অ্যাসোসিয়েশন তাদের মতামত দিয়েছিল। সেই কমিটি কয়েক মাস আগে প্রতিবেদন জমা দিলেও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। পরে তড়িঘড়ি করে রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারকে বাড়তি সুবিধা দিতে গিয়ে গোপনীয়তার সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদে খসড়ার অনুমোদনের পর ব্যথিত দুই ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
৫৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে ফেলাকে রাষ্ট্রের বৃহৎ স্বার্থবিরোধী বলে মনে করেন আয়কর কর্মকর্তারা। তারা মনে করেন, প্রধান উপদেষ্টার গঠিত সংস্কার কমিটির স্পিরিটকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজস্ব বিরোধী প্রস্তাবকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
খসড়ার বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে তারা বলেন, খসড়ায় রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব পদে রাজস্ব অভিজ্ঞতাবিহীন কর্মকর্তাকেও নিয়োগের ব্যবস্থা রাখা, নীতি বিভাগের বিভিন্ন পদে বিভিন্ন বিভাগের জন্য উন্মুক্ত রাখা, নীতি বিভাগকে ব্যবস্থাপনা বিভাগের তদারকির ব্যবস্থা রাখা, অভিজ্ঞতাবিহীন কর্মকর্তাকেও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব পদে পদায়নের সুযোগ রাখা, প্রশাসনিক অনুবিভাগে একমাত্র প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী।
