জলাবদ্ধতার জন্য চসিক-চউকের আগের মেয়র-চেয়ারম্যানরাই দায়ী: উপদেষ্টা ফাওজুল
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ১০:০১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রামের ভয়াবহ জলাবদ্ধতার জন্য আগে যারা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র কিংবা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তারাই দায়ী। এ সমস্যা মানবসৃষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খনিজ সম্পদ, সেতু, সড়ক ও পরিবহণ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
মঙ্গলবার নগরীর খাল খনন কার্যক্রম পরিদর্শন কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। খালে-নালায় ময়লা-অবর্জনা যারা ফেলছে তাদের জরিমানার আওতায় আনার কথা বলেন উপদেষ্টা।
চট্টগ্রামে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ শেষ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই সময়ে এ ধরনের জলাবদ্ধতা চট্টগ্রাম নগরীতে ছিল না। খাল-নালা দখল করে বাড়ি নির্মাণ, মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় সেসব খাল ও নালা উদ্ধারের কাজ চলছে।
জানা গেছে, জলাবদ্ধতা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও দ্রুত নগরীকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করার জন্য যে কয়েকজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে তার মধ্যে অন্যতম ফাওজুল কবির খান অন্যতম। ৩৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের পাশাপাশি চট্টগ্রামে নিজস্ব অর্থায়নে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর বির্জাখাল খনন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছে।
মঙ্গলবার এ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে আসেন উপদেষ্টা ফাওজুল। বাকলিয়া এলাকায় খাল পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী বর্ষা মওসুমের আগেই জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
খাল পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সভায় উপদেষ্টা বলেন, খননের পর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, খাল পরিষ্কারের পর আবারও ময়লা ফেলা হচ্ছে। সেটা করলে খাল পরিষ্কার করে লাভ নেই। আমরা ১০ হাজারের মতো ডাস্টবিন দিয়েছি। এখন থেকে সেগুলোতে ময়লা ফেলবেন। আমরা বিভাগীয় কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছি ময়লা বিনে না ফেললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। বিনগুলোকে নিজেদের যত্ন করতে হবে। বিন হারিয়ে গেলে যার এলাকা থেকে হারিয়ে যাবে তাকে জরিমানা দিতে হবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনি নাগরিকদের সচেতনতা ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নগর জামায়াতের আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, সবাইকে নিয়ে আমরা নগরকে গ্রিন, হেলদি সিটি করার জন্য কাজ করছি। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। তাহলেই আমরা শহরকে সুন্দর রাখতে পারব।
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ২৪ দিনের মাথায় উপদেষ্টা আমাদের কার্যক্রম পরিদর্শনে আসায় আমাদের নেতাকর্মীরা উৎসাহিত হয়েছেন। তিন হাজার ফিট, বির্জাখালের ১ হাজার ৮০০ ফিট খনন ও পরিষ্কারের কাজ এইর মধ্যে শেষ করেছেন বলে তথ্য দেন তিনি। ঈদুল আজহার আগে বাকি অংশের কাজ শেষ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
