সাবেক সিইসি নুরুল হুদার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা।ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির করা মামলায় তাকে রোববার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে রোববার সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জনতার হাতে আটক হন সাবেক এই সিইসি। তাকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। ডিবির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করেছে বিএনপি।
সাবেক এই তিন সিইসি হলেন- ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলার আবেদন জমা দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
যে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করা হয়, তাদের মধ্যে আছেন ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ, নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক, আবু হানিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী, শাহ নেওয়াজ ও তৎকালীন নির্বাচন সচিবসহ প্রধান নির্বাচন কমিশন অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা।
এ তালিকায় আরও আছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকারসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা।
অভিযোগে আরও আসামি করা হয় ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে।
