Logo
Logo
×

জাতীয়

সামিট গ্রুপ নিয়ে জুলকারনাইন সায়েরের পোস্ট

ফার্নেস অয়েল আমদানির মাধ্যমে বছরে ২৪ কোটি টাকার বেশি পাচার

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৬:০২ এএম

ফার্নেস অয়েল আমদানির মাধ্যমে বছরে ২৪ কোটি টাকার বেশি পাচার

ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ফার্নেস অয়েল আমদানির আড়ালে বছরে ২৪ কোটি টাকার বেশি পাচারের অভিযোগ উঠেছে সামিট গ্রুপের বিরুদ্ধে। সরকারি এক তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এমন তথ্য তুলে ধরেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।

রোববার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের ভাই মুহাম্মদ আজিজ খান সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট এ ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার করার অভিযোগ আছে। ইতোমধ্যে আজিজ খানের পরিবারের ১১ সদস্যের ১৯১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছে সরকার। 

জুলকারনাইন সায়ের জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পরেও দেশের বাইরে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে সামিট গ্রুপ। তবে তা ধামাচাপা দিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। 

২০১৬ সাল থেকে বরিশালে ১১০ মেগাওয়াট, গাজীপুরে ১৫০ ও ৩০০ মেগাওয়াটের তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালিত করে আসছিল সামিট গ্রুপ। 

সায়ের জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ফার্নেস অয়েল সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করে সামিট। চুক্তি মোতাবেক সিঙ্গাপুরে প্রকাশিত ফার্নেস অয়েলের মূল্য তালিকায় বর্ণিত দাম অনুযায়ী বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কর্তৃক সামিটকে প্রতি মাসে ব্যবহৃত জ্বালানির মূল্য পরিশোধ করা হয় আর এখানেই ঘটেছে শুভঙ্করের ফাঁকি।

২০২৪ সালে তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ফার্নেস অয়েল আমদানির সময় তালিকায় বর্ণিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য কৌশলে মিথ্যা বর্ণনা করে সামিট কর্তৃক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে জ্বালানির মূল্য পরিশোধের আবেদন করা হয়। তবে আওয়ামী লীগের পতনের  পরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বোর্ড এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চোখে পড়ে যায় দামের অসঙ্গতি।

তারা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে প্রতি মেট্রিক টন ৪৩৬ ডলারের পরিবর্তে ৪৬৬ ডলার আমদানি দেখায়। বিগত বছর ৩১ চালানের মাধ্যমে ৬৬ হাজার টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করে। টন প্রতি ২৯ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত বিবেচনা করলে মাত্র ১২ মাসেই প্রায় ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৪ কোটি টাকার বেশি পাচার করেছে সামিট গোষ্ঠী।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম