৩৪ কোটি টাকা পাচার
বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের এমডি গ্রেফতার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের করপোরেট গ্যারান্টেড সহযোগী প্রতিষ্ঠান অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার ওয়াসিউর রহমানকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার সিআইডির সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের তত্ত্বাবধানে ইনস্পেকটর মো. ছায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে সিআইডির একটি দল ওয়াসিউর রহমানকে রাজধানীর মধ্যবাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট থেকে গ্রেফতার করেছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, জনতা ব্যাংকের দিলকুশা লোকাল অফিস থেকে অটম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেডে তিনটি এলসি বা সেলস কন্ট্রাক্ট গ্রহণ করে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সময়কালে আমদানির নামে পণ্য রপ্তানি করে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী রপ্তানির চার মাসের মধ্যে রপ্তানি মূল্য দেশে ফেরত আনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা ফেরত আনেনি।
সিআইডির তদন্তে আরও উঠে আসে অটম লুপ অ্যাপারেলস ইচ্ছাকৃতভাবে রপ্তানিমূল্য দেশে না এনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অর্থপাচারে লিপ্ত হয়েছে। গ্রেফতার ওয়াসিউর রহমান এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ও অন্যান্য এজাহারভুক্ত আসামি পরিকল্পিতভাবে স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
সিআইডি আরও জানায়, গ্রেফতার ওয়াসিউর রহমানকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে, তিনি ও তার সহযোগীদের বিদেশে কোনো অবৈধ সম্পদ রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়াও বেক্সিমকো গ্রুপের বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত চলছে।
