Logo
Logo
×

জাতীয়

বছর পেরিয়ে গেলেও গণমাধ্যম সংস্কার বাস্তবায়ন হয়নি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৬ পিএম

বছর পেরিয়ে গেলেও গণমাধ্যম সংস্কার বাস্তবায়ন হয়নি

ছবি: যুগান্তর

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও গণমাধ্যমের সংস্কার ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ আয়োজনে ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করছে। সাংবাদিক সমাজ তা সহ্য করবে না। গত ১৭ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংবাদিকরা সাহসী সাংবাদিকতা করছে। তাদেরকে বঞ্চিত করে কথিত সাংবাদিকদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করেছে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। এটি সাংবাদিকরা মেনে নিবে না। আমরা যে ঐক্যবদ্ধভাবে হাসিনাকে হটিয়েছি, তেমনি আমাদের এখনও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেসব মিডিয়াতে স্বৈরাচারের দোসররা রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন- জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, সাংবাদিক নেতা এরফানুল হক নাহিদ, মুরসালীন নোমানী, আবু সালেহ আকন, নিজাম উদ্দিন উদ্দিন দরবেশ প্রমুখ।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের জন্য গঠিত হয়েছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অন্যায্য কাজকে আমরা মেনে নিব নাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা কাদেরকে প্রমোট করছে, জাতি জানে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সাংবাদিকরা যখন রাস্তায় নেমে পড়বে, তখন কারো ঠাঁই হবে না।

জতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, আজ আনন্দ ও বেদনার দিন। ফ্যাসিবাদের পতনে আমাদের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। গণতন্ত্র সুরক্ষা ও ফ্যাসিবাদের বিচার করতে হবে। ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না এটাই ঠিক। আমি জানি না রাজনৈতিক দলগুলো কেন নীরব। ভারতীয় চ্যানেল কেন বন্ধ হচ্ছে না? কিছু কিছু উপদেষ্টার অপরিপক্বতা ও অজ্ঞতা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। কোনো অন্তর্বর্তী সরকার এত দিন ছিলেন না। আমরা চাই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যহত করতে সরকারের বোধদয় হবে।

সাইবার সিকিউরিটির সমালোচনা করে বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, কালো আইন সাইবার সিকিউরিটি আজও বাতিল করা হয়নি, এটা দুঃখজনক। হাসিনার সময়ে গুম খুন হয়েছে, এখন মব চলছে। ১৭ বছর ধরে আমরা ভোট দিতে পারিনি। আমরা চাই নির্বাচিত সরকার; কিন্তু সংস্কারের মুলা ঝুলিয়ে এক বছর হলেও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আমরা পাই নাই।

তিনি বলেন, বাংলার মাটিতে আর কোনো ফ্যাসিস্ট আসতে দেওয়া হবে না। আর কোনো সাংবাদিকের প্রাণ হারাতে দিব না। আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন করা হলে সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না। খুনি হাসিনার রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে আমরা ১৭ বছর রাজপথে ছিলাম। আমাদের আর রাস্তায় নামাবেন না। তাহলে হাসিনার পরিণতি হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিরে দেখা ৫ আগস্ট


আরও পড়ুন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম