কর্মশালায় বক্তারা
আইন শক্তিশালী হলে শতভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন অর্জন সম্ভব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইনকে আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করা অপরিহার্য। জাতিসংঘের আঞ্চলিক সংস্থা ইউএনএসকাপ ঘোষিত সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস (সিআরভিএস) দশকের আওতায় বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসডিজির ১৬.৯ লক্ষ্যমাত্রায় জন্ম নিবন্ধনসহ সবার জন্য বৈধ পরিচয়পত্র প্রদানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। দেশের সব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আইনগতভাবে নিবন্ধনের দায়িত্ব দেওয়া হলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। রাজধানীর বিআইপি কনফারেন্স রুমে দুই দিনব্যাপী (শনি ও রোববার) অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন : অগ্রগতি, প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)-এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ৩০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের হার ৫০ শতাংশ, যা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অগ্রগতির তুলনায় অনেক কম। ইউনিসেফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বে জন্ম নিবন্ধনের গড় হার ৭৭ শতাংশ এবং দক্ষিণ এশিয়াতে এটি ৭৬ শতাংশ। মৃত্যু নিবন্ধনেও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ হার ৪৭ শতাংশ। অথচ বৈশ্বিক গড় হার ৭৪ শতাংশ।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, দেশের প্রায় ৬৭ শতাংশ শিশু স্বাস্থ্যসেবার আওতায় জন্মগ্রহণ করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়নি। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নিবন্ধকের কাছে জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য প্রদানের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পরিবারকে দিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বকে ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে। এতে অনেক দেশ শতভাগ বা তার কাছাকাছি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন হার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, আইন সংশোধন করে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্ব আইনগতভাবে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের কাছে দেওয়া হলে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যেই শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে। কর্মশালায় আলোচক ছিলেন ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস-এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. নজরুল ইসলাম ও মো. মঈন উদ্দিন, চ্যানেল আই-এর সিনিয়র নিউজ এডিটর মীর মাসরুর জামান, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা’র কনভেনর লিটন হায়দার, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের প্রমুখ। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার এবং কোঅর্ডিনেটর মাশিয়াত আবেদিন।
