Logo
Logo
×

জাতীয়

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চূড়ান্ত করাসহ ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীকে প্রাধান্য দিয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এবং তফসিল ঘোষণা হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে রোডম্যাপ ঘোষণ করেন।

আখতার আহমেদ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ২৪টি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ শুরু হবে, যা চলবে অক্টোবর পর্যন্ত। এ ছাড়া নভেম্বরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এবং তফশিল ঘোষণা করা হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে।

কর্মপরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ যত বিষয়

অংশীজনের সংলাপ, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নির্বাচনি আইন বিধি সংস্কার, দল নিবন্ধন, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, ভেটকেন্দ্র স্থাপন, পোস্টাল ভোটিং, পযবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, দেশি বিদেশি সাংবাদিক অনুমোদন; নির্বাচনের জন্য জরনবল ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা, নির্বাচনি দ্রব্যাদি সংগ্রহ, আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কাযক্রম।

অন্যান্য আইন-বিধি সংস্কার ও একীভূতকরণ; ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা, পোস্টার, পরিচয়পত্র মুদ্রণ; প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স উপযোগীকরণ, নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দ, প্রচারণা ও উদ্বুদ্ধকরণ, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সুসংহতকরণ, ডিজিটাল মনিটর স্থাপন ও যন্ত্রপাতি সংযোজন, বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল প্রচার, ফলাফল প্রদর্শন, প্রকাশ ও প্রচার (বিভিন্ন মাধ্যমে); বিবিধ।

দল ও অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ সেপ্টেম্বরে শেষ সপ্তাহে থেকে শুরু। শেষ হতে সময় লাগবে দেড় মাস।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ: ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ধাপের সম্পূরক খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যা চূড়ান্ত করা হবে ৩১ আগস্ট। আর ৩১ অক্টোবরের সম্পূরক তালিকা শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ নভেম্বর।

নির্বাচনি আইন-বিধি: গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), অন্যান্য আইন বিধি ৩১ অগাস্টের মধ্যে সংশোধনের প্রস্তাব ও প্রণয়ন। এছাড়া সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ আইন সংশোধন, ভোটার তালিকা আইন সংশোধন, সংসদ নির্বাচনের ভোটার কেন্দ্র নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত; দেশি, বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সংবাদিক নীতামালা চূড়ান্ত করা; নির্বাচন পরিচালনা (সংশোধন) আইন ২০২৫; নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯ সংশোধনের কাজ আইন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে, যা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার আশা করছে ইসি।

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন: মধ্য সেপ্টেম্বর প্রাথমিক নিবন্ধন ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন।

সীমানা নির্ধারণ: সেপ্টেম্বরের শুরুতে চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ আর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জিআইএস ম্যাপ প্রস্তুত ও প্রকাশ।

পোস্টাল ভোটিং ও ব্যালট: প্রকল্প অনুমোদন, সফটওয়্যার চূড়ান্ত, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, নিবন্ধন ও প্র্যাক্টিসিং মডিউল, প্রচারের কাজ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করা। প্রবাসে নভেম্বরে ব্যালট পেপার পাঠানো। কারাবন্দিদের ভোটের দুই সপ্তাহ আগে ব্যালট পাঠানোর পরিকল্পনা।

আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কার্যক্রম: সেপ্টেম্বরে ও তফসিল ঘোষণার ১৫ দিন এবং তফসিল ঘোষণার পর বৈঠক।

আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রোজার আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। এ সংক্রান্ত চিঠিও দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন, ভোটের তারিখের প্রায় দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশন সভায় আলোচনা শেষে জানানো হয়, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দেবে ইসি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম