|
ফলো করুন |
|
|---|---|
লেখক, গবেষক, বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সচিব ও সিনিয়র সাংবাদিক মারুফ কামাল খান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে তার মতো হবার, এমনকি তাকে অনুসরণ করবার মতো মানুষও নেই বললেই চলে। সাহসে, সততায়, ত্যাগে, পাণ্ডিত্যে তিনি ছিলেন অনন্য। এমন বিশ্বমানের মানুষ আমাদের ছিলেন, বাংলাদেশের ছিলেন, আমাদের মধ্যে ছিলেন - অন্তত এটুকু গর্ব আমাদের ছিল এতকাল। আজ থেকে তা’ নিঃশেষ হয়ে গেল।
মারুফ কামাল বলেন, বদরুদ্দীন উমর মারা গেছেন। অমন মানুষ কি আর এ দেশে জন্মাবে? কবে? কখন? এদেশ আরও হতদরিদ্র ও নিঃস্ব হয়ে গেল। উমর যে শূন্যতা সৃষ্টি করে গেলেন তা’ কতকাল শূন্যই থাকবে, জানি না। বিদায়ী অভিবাদন তার স্মৃতির প্রতি।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে মারা যান বদরুদ্দীন উমর (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা জানান, সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর শ্যামলীতে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০টা ৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, গত ২২ জুলাই শ্বাসকষ্ট ও নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে বদরুদ্দীন উমর হাসপাতালে ভর্তি হন। দীর্ঘ ১০ দিন চিকিৎসা শেষে তিনি বাসায় ফেরেন গত সপ্তাহে।
১৯৩১ সালে ২০ ডিসেম্বর ভারতের বর্ধমানে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা আবুল হাশিম ভারতীয় উপমহাদেশের একজন মুসলিম জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ ছিলেন। ষাটের দশকে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন আর ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে তার লেখা বইগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
তার চিন্তা বুঝতে সহায়ক বিশেষ করে ‘সাম্প্রদায়িকতা’ (১৯৬৬), ‘সংস্কৃতির সংকট’ (১৯৬৭), ‘সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা’ (১৯৬৯)—তিনটি বই। এই বই লিখেই তিনি ক্ষান্ত হননি। তিনি শাসকদের অধীনে চাকরি পর্যন্ত করবেন না, এ মনোভাব পোষণ করে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।
