মহাসড়কে নির্ধারিত গতিসীমার বাইরে যান চালানো ঠেকাতে হাইওয়ে পুলিশের হাতে স্পিডগান। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সড়কের বাঁক দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকরা বলেছেন, দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে সোজা সড়কে।এই দুর্ঘটনার মূল কারণ হচ্ছে ওভার স্প্রিডে (অতিরিক্ত গতি) গাড়ি চালানো।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান জানান, মহাসড়কে বিভাজক বসানোয় গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ কমলেও পেছন থেকে ধাক্কার ঘটনা বেড়ে গেছে।
‘নিরাপদ সড়ক দিবসে’ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক এক সংলাপে নিজেদের গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন হাদিউজ্জামান।
তিনি বলেন, অনেকের ধারণা সড়ক বাঁকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু জরিপ করে দেখা গেছে বাঁকে দুর্ঘটনা ঘটে ৩০ শতাংশ, আর বাকি সব দুর্ঘটনা ঘটে সরল বা সোজা সড়কে। এজন্য গাড়িগুলোর অতিরিক্ত গতিতে চালানোকে দায়ী করেন তিনি। পাশাপাশি কেন চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠেন, তার ব্যাখ্যাও দেন এই গবেষক।
হাদিউজ্জামান ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, সারা দেশের সড়কগুলোর উপর দুইর বেশি হাট ও বাজার রয়েছে। এই হাটবাজারের যানজটে পরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় চালককে। ওই চালকরা যখন গাড়ি নিয়ে সরল পথে আসে, তখন যানজটে নষ্ট হওয়ার সময় পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটায়।
এদিকে একইদিনে আরেক অনুষ্ঠানে যাত্রী কল্যাণ সমিতি দুর্ঘটনার বিষয়ে এক পরিসংখ্যান দিয়েছে।তারা জানায়, গত ৬ বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩ হাজার ৮৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুয়েটের গবেষকরা জানান, সমীক্ষা করে তারা দেখেছেন- ৩০ শতাংশ গতিতে চলমান কোনো গাড়ির ধাক্কায় আঘাত পেয়ে আহত হলে বাঁচার সম্ভাবনা ৯৫ শতাংশ। কিন্তু ১০ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ৪০ গতির গাড়ির ধাক্কায় আঘাত পেয়ে আহত হলে বাঁচার সম্ভাবনা ৪৫ শতাংশে নেমে আসে আর ৫০ শতাংশ গতির গাড়ির ধাক্কায় আহত বাঁচার সম্ভাবনা ৫ শতাংশ নেমে আসে।সুতরাং গতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাপকাঠি সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে।
দেশের অধিকাংশ মহাসড়কে বিভাজক বসানোয় গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ কমানো গেলেও দুর্ঘটনার ধরন এখন পাল্টে গেছে বলে সমীক্ষায় দেখা গেছে।এখন পেছন থেকে ধাক্কার কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে বলেও উল্লেখ করেন হাদিউজ্জামান।
