ই-অরেঞ্জ প্রতারণা: সোহেলসহ সাত জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণায় বনানী থানার বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা ও তার বোন সোনিয়া মেহজাবিনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্রতারণার মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে সিআইডি। গুলশান থানার ওই মামলায় চলতি মাসের প্রথমদিকে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় বাহিনীটি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. হাবিবুর রহমান জানান, শেখ সোহেল রানা, তার বোন সোনিয়া মাহজাবিন ছাড়াও অভিযুক্ত করা হয়েছে, সোনিয়ার স্বামী মাসুকুর রহমান, অংশীদার বিথী আক্তার, সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম, কর্মকর্তা আমানুল্লাহ ও কাউসার আহমেদকে। সোনিয়া ও মাসুকুরসহ তিনজন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
ই-অরেঞ্জের নামে তারা অনলাইনে পণ্য বিক্রির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। তাদের প্রলোভনে অনেক গ্রাহক পণ্য কেনার আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা পণ্য না দিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সোনিয়া ও তার স্বামী মাসুকুর ২০১৮ সালে ই-কমার্স ব্যবসার পরিকল্পনা করেন। মাসুকুরের সহযোগিতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ই-অরেঞ্জের নামে দুটি ট্রেড লাইসেন্স নেন সোনিয়া। নাজমুল আলম নামের এক ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সোনিয়া একপর্যায়ে বিথী আক্তার নামের এক নারীর নামে মালিকানা হস্তান্তর করেন। মালিকানা বদলের কাগজপত্রে বিথীর প্রকৃত ঠিকানা দেওয়া হয়নি, যা পূর্বপরিকল্পিত প্রতারণার অংশ। সোহেল ও সোনিয়ার ঘনিষ্ঠ এই বিথী।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, মামলাটির বাদি বিএম সুলতান একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করেন। ই-অরেঞ্জের ফেসবুক পেজে তিনি লোভনীয় মূল্যে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে তিনি গত বছরের ১৪ জুন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় একটি মোটরসাইকেল কেনার আদেশ দেন। টাকা নিয়ে সুলতানকে আর মোটরসাইকেল বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আসামি সোহেল রানা ই-অরেঞ্জের একজন পরিচালক। তিনিসহ অন্যরা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণায় জড়িত।
ই-অরেঞ্জ নামে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান খুলে কম দামে পণ্য বিক্রির ফাঁদে ফেলে গ্রাহকের এগারো শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সোনিয়া মাহজাবিনের বিরুদ্ধে। পরে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে আসে, ই-অরেঞ্জের নেপথ্যে রয়েছেন সোনিয়ার ভাই সোহেল রানা।
প্রতারণায় সোহেলের সম্পৃক্ততা সামনে এলে তিনি গা ঢাকা দেন। পরে তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যান। গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর তিনি ভারতে আটক হন। তাকে বাংলাদেশে ফেরত আনতে পুলিশ সদর দফতর থেকে ভারতের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের ডিসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, তদন্তে যেহেতু তার অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে, সে জন্য অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। তবে সোহেলকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়।
ই-অরেঞ্জ প্রতারণা: সোহেলসহ সাত জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:০০:৪৭ | অনলাইন সংস্করণ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণায় বনানী থানার বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা ও তার বোন সোনিয়া মেহজাবিনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্রতারণার মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে সিআইডি। গুলশান থানার ওই মামলায় চলতি মাসের প্রথমদিকে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় বাহিনীটি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. হাবিবুর রহমান জানান, শেখ সোহেল রানা, তার বোন সোনিয়া মাহজাবিন ছাড়াও অভিযুক্ত করা হয়েছে, সোনিয়ার স্বামী মাসুকুর রহমান, অংশীদার বিথী আক্তার, সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম, কর্মকর্তা আমানুল্লাহ ও কাউসার আহমেদকে। সোনিয়া ও মাসুকুরসহ তিনজন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
ই-অরেঞ্জের নামে তারা অনলাইনে পণ্য বিক্রির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। তাদের প্রলোভনে অনেক গ্রাহক পণ্য কেনার আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা পণ্য না দিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সোনিয়া ও তার স্বামী মাসুকুর ২০১৮ সালে ই-কমার্স ব্যবসার পরিকল্পনা করেন। মাসুকুরের সহযোগিতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ই-অরেঞ্জের নামে দুটি ট্রেড লাইসেন্স নেন সোনিয়া। নাজমুল আলম নামের এক ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সোনিয়া একপর্যায়ে বিথী আক্তার নামের এক নারীর নামে মালিকানা হস্তান্তর করেন। মালিকানা বদলের কাগজপত্রে বিথীর প্রকৃত ঠিকানা দেওয়া হয়নি, যা পূর্বপরিকল্পিত প্রতারণার অংশ। সোহেল ও সোনিয়ার ঘনিষ্ঠ এই বিথী।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, মামলাটির বাদি বিএম সুলতান একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করেন। ই-অরেঞ্জের ফেসবুক পেজে তিনি লোভনীয় মূল্যে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে তিনি গত বছরের ১৪ জুন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় একটি মোটরসাইকেল কেনার আদেশ দেন। টাকা নিয়ে সুলতানকে আর মোটরসাইকেল বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আসামি সোহেল রানা ই-অরেঞ্জের একজন পরিচালক। তিনিসহ অন্যরা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণায় জড়িত।
ই-অরেঞ্জ নামে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান খুলে কম দামে পণ্য বিক্রির ফাঁদে ফেলে গ্রাহকের এগারো শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সোনিয়া মাহজাবিনের বিরুদ্ধে। পরে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে আসে, ই-অরেঞ্জের নেপথ্যে রয়েছেন সোনিয়ার ভাই সোহেল রানা।
প্রতারণায় সোহেলের সম্পৃক্ততা সামনে এলে তিনি গা ঢাকা দেন। পরে তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যান। গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর তিনি ভারতে আটক হন। তাকে বাংলাদেশে ফেরত আনতে পুলিশ সদর দফতর থেকে ভারতের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের ডিসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, তদন্তে যেহেতু তার অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে, সে জন্য অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। তবে সোহেলকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বিষয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023