ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি দবিরুল ইসলামের স্ত্রী আবেদা খাতুন আর নেই
ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি ও ভাষা সৈনিক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রয়াত অ্যাডভোকেট দবিরুল ইসলাম এমএলএ-এর স্ত্রী আবেদা খাতুন হেনা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি দিনাজপুর হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৭।
বার্ধ্যকজনিত সমস্যা ছাড়াও কিডনির জটিলতার কারণে আবেদা খাতুন হেনাকে গত ২৬ আগস্ট দিনাজপুরের এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
দবিরুল ইসলামের ছেলে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা আহসান উল্লাহ ফিলিপ তার মায়ের মৃত্যুর সংবাদ যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৯ সালের ৪ জানুয়ারি প্রথম কাউন্সিল অধিবেশনে দবিরুল ইসলাম সংগঠনের সভাপতি (১৯৪৯-১৯৫৩) নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। দবিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন অন্যতম সদস্যও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহপাঠী ছিলেন দবিরুল ইসলাম।
চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দবিরুল ইসলামকেও বহিষ্কার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে তিনি ঠাকুরগাঁও থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন। দবিরুল ইসলাম ১৯৫৬ সালে আবু হোসেন সরকারের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম বিষয়ক পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। জেলে পাক সরকারের নির্মম নির্যাতনের কারণে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন দবিরুল ইসলাম। এ অবস্থায় ১৯৬১ সালের ১৩ জানুয়ারি মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন বঙ্গবন্ধুর এই ঘনিষ্ঠ সহচর।
বিয়ের মাত্র ১০ বছরের মাথায় স্বামী দবিরুল ইসলামের মৃত্যুর পর চরম প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে ৪ সন্তানকে (এক মেয়ে ও তিন ছেলে) বড় করেন আবেদা খাতুন হেনা। তার জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার বামুনিয়া গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে।
দবিরুল ইসলামের স্ত্রী আবেদা খাতুন হেনা মৃত্যুর আগে যুগান্তরকে জানিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার স্বামী দবিরুল ইসলামের অসম্ভব ভালো বন্ধুত্ব ছিল। তিনি নিজেই খুব কাছ থেকে তাদের সম্পর্কটা দেখেছেন।
আবেদা খাতুন বলেন, ‘বিয়ের ১০ বছরের মাথায় স্বামীকে হারিয়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করেছি! আমার দুঃখ ও অতৃপ্তি ভাষার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেও স্বামী দবিরুল ইসলাম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি। মৃত্যুর আগে যদি তার স্বীকৃতিটা দেখে যেতে পারতাম তাহলে মরেও শান্তি পেতাম।’
ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি দবিরুল ইসলামের স্ত্রী আবেদা খাতুন আর নেই
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:৩৬:০৪ | অনলাইন সংস্করণ
ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি ও ভাষা সৈনিক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রয়াত অ্যাডভোকেট দবিরুল ইসলাম এমএলএ-এর স্ত্রী আবেদা খাতুন হেনা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি দিনাজপুর হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৭।
বার্ধ্যকজনিত সমস্যা ছাড়াও কিডনির জটিলতার কারণে আবেদা খাতুন হেনাকে গত ২৬ আগস্ট দিনাজপুরের এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
দবিরুল ইসলামের ছেলে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা আহসান উল্লাহ ফিলিপ তার মায়ের মৃত্যুর সংবাদ যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৯ সালের ৪ জানুয়ারি প্রথম কাউন্সিল অধিবেশনে দবিরুল ইসলাম সংগঠনের সভাপতি (১৯৪৯-১৯৫৩) নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। দবিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন অন্যতম সদস্যও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহপাঠী ছিলেন দবিরুল ইসলাম।
চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দবিরুল ইসলামকেও বহিষ্কার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে তিনি ঠাকুরগাঁও থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন। দবিরুল ইসলাম ১৯৫৬ সালে আবু হোসেন সরকারের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম বিষয়ক পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। জেলে পাক সরকারের নির্মম নির্যাতনের কারণে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন দবিরুল ইসলাম। এ অবস্থায় ১৯৬১ সালের ১৩ জানুয়ারি মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন বঙ্গবন্ধুর এই ঘনিষ্ঠ সহচর।
বিয়ের মাত্র ১০ বছরের মাথায় স্বামী দবিরুল ইসলামের মৃত্যুর পর চরম প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে ৪ সন্তানকে (এক মেয়ে ও তিন ছেলে) বড় করেন আবেদা খাতুন হেনা। তার জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার বামুনিয়া গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে।
দবিরুল ইসলামের স্ত্রী আবেদা খাতুন হেনা মৃত্যুর আগে যুগান্তরকে জানিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার স্বামী দবিরুল ইসলামের অসম্ভব ভালো বন্ধুত্ব ছিল। তিনি নিজেই খুব কাছ থেকে তাদের সম্পর্কটা দেখেছেন।
আবেদা খাতুন বলেন, ‘বিয়ের ১০ বছরের মাথায় স্বামীকে হারিয়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করেছি! আমার দুঃখ ও অতৃপ্তি ভাষার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেও স্বামী দবিরুল ইসলাম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি। মৃত্যুর আগে যদি তার স্বীকৃতিটা দেখে যেতে পারতাম তাহলে মরেও শান্তি পেতাম।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2023