আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যবহৃত মেয়াদোত্তীর্ণ ফাইজারের টিকা কাউকে দেওয়া হবে না। তবে শিশুদের ফাইজার ও বড়দের সিনোফার্মসহ অন্যান্য টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। টিকার ঘাটতি পূরণে আগামী এক মাসের মধ্যে ফাইজারের বিশেষ টিকা আমদানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা শাখার লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি অ্যান্ড এএইচ) ডা. সাইদুজ্জামান যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।

ডা. সাইদুজ্জামান বলেন, করোনার তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজে ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে আমাদের হাতে মজুদ থাকা কিছু সংখ্যক ফাইজারের টিকার মেয়াদ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যাবে। ২৭ ফেব্রুয়ারির পর টিকা দেওয়া হবে না। তবে শিশুদের জন্য যেসব ফাইজারের টিকা রয়েছে, সেগুলোর মেয়াদ আরও অনেক দিন আছে। যে কারণে শিশুদের টিকা কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, কোন টিকার মেয়াদ শেষ হলে সেগুলোর প্রয়োগ বন্ধ হবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য ঘোষণা দেওয়ার কিছু নাই। করোনা টিকার সঠিক ব্যবহার ও অপচয় রোধে ইতোপূর্বে বিশেষ ক্যাম্পেইন করে জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, সরকারের কাছে মজুদ থাকা ফাইজার টিকার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

এদিকে রাজধানীর একাধিক টিকা কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ করোনা টিকা কেন্দ্রই খালি পড়ে আছে। টিকা গ্রহীতাদের আনাগোনা না থাকায় টিকাদানে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অলস সময় পার করছেন।