Logo
Logo
×

অন্যান্য

মাছ-মাংসের দামে উত্তাপ, সবজির দরও বাড়তি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ১১:০০ পিএম

মাছ-মাংসের দামে উত্তাপ, সবজির দরও বাড়তি

রাজধানীর খুচরা বাজারে মাছ-মাংসের দাম উত্তাপ ছড়াচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি সর্বোচ্চ ৮০০ এবং ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সবজির দামও বাড়তি। কমেনি পেঁয়াজ ও আদার দাম। তাই ক্রেতার অস্বস্তি বাড়ছে।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

কয়েকজন বিক্রেতা জানান, বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে; যা সাত দিন আগেও ছিল ৭৫ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি আমদানি করা আদা ৩৫০ ও দেশি আদা সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশে যে পরিমাণে পেঁয়াজ আছে তাতে কুরবানির ঈদের আগে সংকট হওয়ার কথা নয়। বিক্রেতারা ঈদ উপলক্ষ্য করে দাম বাড়াচ্ছে। অজুহাত দিচ্ছে আমদানি বন্ধের। এছাড়া বিভিন্ন দেশের আদার মানের ওপর নির্ভর করে প্রতি কেজির আমদানি মূল্য পড়ে ১২৯-২৫০ টাকা। দেখা গেছে ২৫০ টাকায় আমদানি করা আদা ২৬০ বা ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর ১২৯ টাকায় কেনা আদাও আড়ত থেকে বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকা। এটা একেবারেই অযৌক্তিক। আড়ত থেকে কেনা এই আদা খুচরা পর্যায়ে আরও বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই মূল্য সহনীয় করতে কঠোর তদারকি করা হচ্ছে। অনিয়ম যারা করছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

খুচরা বাজারে শুক্রবার প্রতি কেজি করলা বিক্রি হয় ৮০ টাকা। পাশাপাশি প্রতি কেজি বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কাকরল ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ টাকা এবং জালিকুমড়া প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা বিক্রি হয়।

এদিন রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা বিক্রি হয়। যা রোজার ঈদের আগে ৭০০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ২০০ টাকা, প্রতিকেজি রুই মাছ বিক্রি হয় ৩২০-৩৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ ২২০-২৩০ টাকা বিক্রি হয়। দেশি পুঁটি মাছ কেজি বিক্রি হয় ৬৫০ টাকা। 

রাজধানীর নয়াবাজারে পণ্য কিনতে আসা মো. ইব্রাহিম বলেন, পণ্যের দাম দেখে অস্বস্তি লাগছে। দাম কমাতে সরকারসংশ্লিষ্টদের কোনো উদ্যোগ নেই। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার পরও বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। যেসব সংস্থা এসব দেখবে তারাও দায় নিচ্ছে না। লোক দেখানো বাজার তদারকি করছে। এতে ভোক্তার কোনো উপকার হচ্ছে না।

মাছ মাংস দাম উত্তাপ সবজি দর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম