jugantor
আঞ্চলিকতায় সীমাবদ্ধ ইবি ছাত্রলীগ
মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীরা

  আবদুল্লাহ আল মামুন, ইবি থেকে  

১৮ নভেম্বর ২০১৪, ০০:০০:০০  | 

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ ও মাগুরার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মেধাবী ছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হলেও বর্তমানে সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। আঞ্চলিকতায় ভরপুর ছাত্রলীগে ঠাঁই না পেয়ে অনেকটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন দূরের শিক্ষার্থীরা। ত্যাগী কর্মীরা দাবি করেন, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলায় বাড়ি না হওয়ায় তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয় ১৯৮৯ সালে। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে শাহজাহান আলম সাজু এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাইয়ুম খানকে নির্বাচিত করা হয়। সাজুর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এবং কাইয়ুম খানের বাড়ি বরিশালে। এ দু’জনের কমিটির মেয়াদ শেষ হলে পরবর্তীতে শাহজাহান আলম সাজুকে সভাপতি এবং বরিশালের আলমগীর হোসেন খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সাতক্ষীরার আফসার উদ্দিন বাবলুকে সভাপতি এবং ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী গাড়াগঞ্জের মীর জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সেই থেকে আর আঞ্চলিকতার বাইরে যেতে পারেনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি। পরবর্তীতে সভাপতি হিসেবে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শৈলকুপা থানার কাতলাগাড়ী গ্রামের শামসুল আলম জোহাকে এবং মাগুরার হারুন অর রশিদকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। এর মধ্যে ভাগ্যক্রমে সিরাজগঞ্জের জহুরুল ইসলাম মিল্টনকে সভাপতি করা হয় এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শৈলকুপা থানার জুগিপাড়া গ্রামের আ. হান্নানকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। তাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ইবি থানার মধুপুর গ্রামের বিএম আ. রফেলকে সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী কাসেরকোল ইউনিয়নের সালাহউদ্দিন জোয়ার্দ্দার মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২০০৪ সালে ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার শেখ শাহনুর আলম কেরামকে সভাপতি এবং মাগুরার সাজ্জাদ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২০০৯ সালে ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পান ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ড থানার জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সাধরণ সম্পাদক হন ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী বসন্তপুর গ্রামের শামসুজ্জামান তুহিন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং শিক্ষক পেটানোার কারণে তাদের কমিটি বাতিল করে শামীম হোসেন খানকে আহ্বায়ক করে ২৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সে ক্ষেত্রেও স্থান পায়নি ত্যাগী ছাত্রনেতারা। আহ্বায়ক কমিটির ১৮ জনই কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের। বাকিরা বিভিন্ন জেলার থাকলেও তাদের দলে মূল্যায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ইবির বাংলা বিভাগের ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা বাইরে থেকে এসে প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে যেভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে যাচ্ছি তার কিছুটা যদি কেন্দ্রীয় সংসদ মূল্যায়ন করত তাহলে ছাত্রলীগ লোকালিজম থেকে মুক্তি পেত। ইবি ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীম হোসেন খান বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকে আরও উন্নত করতে হলে অবশ্যই বাইরের ছাত্রদের হাতে নেতৃত্ব দিতে হবে। আমি মনে করি ছাত্রলীগের কমিটি দেয়ার আগে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়টি বিবেচনা করবে।’ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।



সাবমিট

আঞ্চলিকতায় সীমাবদ্ধ ইবি ছাত্রলীগ

মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীরা
 আবদুল্লাহ আল মামুন, ইবি থেকে 
১৮ নভেম্বর ২০১৪, ১২:০০ এএম  | 
কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ ও মাগুরার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মেধাবী ছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হলেও বর্তমানে সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। আঞ্চলিকতায় ভরপুর ছাত্রলীগে ঠাঁই না পেয়ে অনেকটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন দূরের শিক্ষার্থীরা। ত্যাগী কর্মীরা দাবি করেন, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলায় বাড়ি না হওয়ায় তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয় ১৯৮৯ সালে। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে শাহজাহান আলম সাজু এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাইয়ুম খানকে নির্বাচিত করা হয়। সাজুর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এবং কাইয়ুম খানের বাড়ি বরিশালে। এ দু’জনের কমিটির মেয়াদ শেষ হলে পরবর্তীতে শাহজাহান আলম সাজুকে সভাপতি এবং বরিশালের আলমগীর হোসেন খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সাতক্ষীরার আফসার উদ্দিন বাবলুকে সভাপতি এবং ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী গাড়াগঞ্জের মীর জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সেই থেকে আর আঞ্চলিকতার বাইরে যেতে পারেনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি। পরবর্তীতে সভাপতি হিসেবে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শৈলকুপা থানার কাতলাগাড়ী গ্রামের শামসুল আলম জোহাকে এবং মাগুরার হারুন অর রশিদকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। এর মধ্যে ভাগ্যক্রমে সিরাজগঞ্জের জহুরুল ইসলাম মিল্টনকে সভাপতি করা হয় এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শৈলকুপা থানার জুগিপাড়া গ্রামের আ. হান্নানকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। তাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ইবি থানার মধুপুর গ্রামের বিএম আ. রফেলকে সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী কাসেরকোল ইউনিয়নের সালাহউদ্দিন জোয়ার্দ্দার মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২০০৪ সালে ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার শেখ শাহনুর আলম কেরামকে সভাপতি এবং মাগুরার সাজ্জাদ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২০০৯ সালে ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পান ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ড থানার জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সাধরণ সম্পাদক হন ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী বসন্তপুর গ্রামের শামসুজ্জামান তুহিন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং শিক্ষক পেটানোার কারণে তাদের কমিটি বাতিল করে শামীম হোসেন খানকে আহ্বায়ক করে ২৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সে ক্ষেত্রেও স্থান পায়নি ত্যাগী ছাত্রনেতারা। আহ্বায়ক কমিটির ১৮ জনই কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের। বাকিরা বিভিন্ন জেলার থাকলেও তাদের দলে মূল্যায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ইবির বাংলা বিভাগের ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা বাইরে থেকে এসে প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে যেভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে যাচ্ছি তার কিছুটা যদি কেন্দ্রীয় সংসদ মূল্যায়ন করত তাহলে ছাত্রলীগ লোকালিজম থেকে মুক্তি পেত। ইবি ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীম হোসেন খান বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকে আরও উন্নত করতে হলে অবশ্যই বাইরের ছাত্রদের হাতে নেতৃত্ব দিতে হবে। আমি মনে করি ছাত্রলীগের কমিটি দেয়ার আগে কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়টি বিবেচনা করবে।’ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র