‘আমাকে চেনেন। আমি ছাত্রলীগের নেতা। বহুদিন ধরেই তো ভালো ব্যবসা করে খাচ্ছেন। আমাদের দিকে একটু তাকান। আমাদের দিকে না তাকালে তো ব্যবসা করতে সমস্যা হবে। তখন কিন্তু আমাদের দোষ দিতে পারবেন না।’
সম্প্রতি সিলেটের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ কর্মী আবদুল জব্বার জলিলের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে ঢুকে এভাবে চাঁদা দাবি করেন সিলেট ছাত্রলীগের নেতা হিরন মাহমুদ নিপু। আওয়ামী লীগ সমর্থক হয়েও বর্তমান সরকারের সময়ে এমন চাঁদাবাজির হুমকি পেয়ে হতভম্ব হয়ে যান আবদুল জব্বার। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল আলম নাদেলকে ফোন করে বিষয়টি জানান। ঘটনা শুনে নাদেল ফোন করে ছাত্রলীগ নামধারী হিরন মাহমুদ নিপুকে সাবধান করে দেন এবং জলিলের ব্যবসায়িক কার্যালয় থেকে দ্রুত বেরিয়ে যেতে বলেন।
তবে এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে সিলেটের সাধারণ মানুষ। চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের দাপটে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এবং ছুটিতে দেশে আসা লন্ডন প্রবাসীরাও।
জানা গেছে, এসব সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের অনেকেই রাজনৈতিক আশীর্বাদপুষ্ট। আবার অনেকে পেশাদার। সিলেটের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণকারী এ ধরনের ২৮ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের নামের তালিকা সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর বাইরে ১৫২ জন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের তালিকা তৈরি করে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে র্যাব।
ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠন
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সিলেটে ২৮ শীর্ষ সন্ত্রাসীর দাপট
‘আমাকে চেনেন। আমি ছাত্রলীগের নেতা। বহুদিন ধরেই তো ভালো ব্যবসা করে খাচ্ছেন। আমাদের দিকে একটু তাকান। আমাদের দিকে না তাকালে তো ব্যবসা করতে সমস্যা হবে। তখন কিন্তু আমাদের দোষ দিতে পারবেন না।’
সম্প্রতি সিলেটের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ কর্মী আবদুল জব্বার জলিলের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে ঢুকে এভাবে চাঁদা দাবি করেন সিলেট ছাত্রলীগের নেতা হিরন মাহমুদ নিপু। আওয়ামী লীগ সমর্থক হয়েও বর্তমান সরকারের সময়ে এমন চাঁদাবাজির হুমকি পেয়ে হতভম্ব হয়ে যান আবদুল জব্বার। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল আলম নাদেলকে ফোন করে বিষয়টি জানান। ঘটনা শুনে নাদেল ফোন করে ছাত্রলীগ নামধারী হিরন মাহমুদ নিপুকে সাবধান করে দেন এবং জলিলের ব্যবসায়িক কার্যালয় থেকে দ্রুত বেরিয়ে যেতে বলেন।
তবে এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে সিলেটের সাধারণ মানুষ। চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের দাপটে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এবং ছুটিতে দেশে আসা লন্ডন প্রবাসীরাও।
জানা গেছে, এসব সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের অনেকেই রাজনৈতিক আশীর্বাদপুষ্ট। আবার অনেকে পেশাদার। সিলেটের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণকারী এ ধরনের ২৮ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের নামের তালিকা সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর বাইরে ১৫২ জন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের তালিকা তৈরি করে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে র্যাব।
ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠন