রাজশাহীতে ঘুমন্ত ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা
ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত ২০
রাজশাহী ব্যুরো
১৯ মার্চ ২০১৪, ০০:০০:০০ |
রাজশাহী নগরীর নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রাবাসে গভীর রাতে ঘুমন্ত সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। সোমবার মধ্যরাতে কলেজের শামসুদ্দিন ছাত্রাবাসে এ হামলার ঘটনায় অন্তত ২০ জন আবাসিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত সাতজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন- কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন, নাজমুল ইসলাম, জাফর, এইচএসসি পরীক্ষার্থী এজাজ আহমেদ, তারিফ ও কর্নেল। এরা সবাই সাধারণ শিক্ষার্থী।
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার সকালে কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলাকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে নিয়ে সেই ঘটনার তাৎক্ষণিক মীমাংসা করে দেয়। এরই জের ধরে সোমবার রাত পৌনে ১টার দিকে নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজ এবং শামসুদ্দিন ছাত্রাবাস শাখা সভাপতি কৌশিকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ছাত্রলীগ কর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রাবাসে হামলা চালায়। এ সময় তারা বিভিন্ন কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত ছাত্রদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে চলে যায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান জানান, আহত সাতজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর জখম রয়েছে। জরুরি অপারেশন শেষে তাদের ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি আহতদের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে কয়েক দফা যোগাযোগ করেও কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজের মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক যুগান্তরকে বলেন, এটি কোনো দলীয় ঘটনা নয়। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের জন্য কিছু উপহার কেনা হয়েছিল। এগুলো হস্তান্তরের সময় ছাত্রদের একাংশ ছিল, অপরাংশ ছিল না।
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার সকালে কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলাকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে নিয়ে সেই ঘটনার তাৎক্ষণিক মীমাংসা করে দেয়। এরই জের ধরে সোমবার রাত পৌনে ১টার দিকে নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজ এবং শামসুদ্দিন ছাত্রাবাস শাখা সভাপতি কৌশিকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ছাত্রলীগ কর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রাবাসে হামলা চালায়। এ সময় তারা বিভিন্ন কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত ছাত্রদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে চলে যায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান জানান, আহত সাতজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর জখম রয়েছে। জরুরি অপারেশন শেষে তাদের ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি আহতদের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে কয়েক দফা যোগাযোগ করেও কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজের মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক যুগান্তরকে বলেন, এটি কোনো দলীয় ঘটনা নয়। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের জন্য কিছু উপহার কেনা হয়েছিল। এগুলো হস্তান্তরের সময় ছাত্রদের একাংশ ছিল, অপরাংশ ছিল না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
রাজশাহীতে ঘুমন্ত ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা
ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত ২০
রাজশাহী ব্যুরো
১৯ মার্চ ২০১৪, ১২:০০ এএম |
রাজশাহী নগরীর নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রাবাসে গভীর রাতে ঘুমন্ত সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। সোমবার মধ্যরাতে কলেজের শামসুদ্দিন ছাত্রাবাসে এ হামলার ঘটনায় অন্তত ২০ জন আবাসিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত সাতজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন- কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন, নাজমুল ইসলাম, জাফর, এইচএসসি পরীক্ষার্থী এজাজ আহমেদ, তারিফ ও কর্নেল। এরা সবাই সাধারণ শিক্ষার্থী।
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার সকালে কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলাকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে নিয়ে সেই ঘটনার তাৎক্ষণিক মীমাংসা করে দেয়। এরই জের ধরে সোমবার রাত পৌনে ১টার দিকে নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজ এবং শামসুদ্দিন ছাত্রাবাস শাখা সভাপতি কৌশিকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ছাত্রলীগ কর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রাবাসে হামলা চালায়। এ সময় তারা বিভিন্ন কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত ছাত্রদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে চলে যায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান জানান, আহত সাতজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর জখম রয়েছে। জরুরি অপারেশন শেষে তাদের ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি আহতদের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে কয়েক দফা যোগাযোগ করেও কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজের মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক যুগান্তরকে বলেন, এটি কোনো দলীয় ঘটনা নয়। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের জন্য কিছু উপহার কেনা হয়েছিল। এগুলো হস্তান্তরের সময় ছাত্রদের একাংশ ছিল, অপরাংশ ছিল না।
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার সকালে কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলাকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষকে নিয়ে সেই ঘটনার তাৎক্ষণিক মীমাংসা করে দেয়। এরই জের ধরে সোমবার রাত পৌনে ১টার দিকে নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজ এবং শামসুদ্দিন ছাত্রাবাস শাখা সভাপতি কৌশিকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ছাত্রলীগ কর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রাবাসে হামলা চালায়। এ সময় তারা বিভিন্ন কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত ছাত্রদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে চলে যায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান জানান, আহত সাতজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর জখম রয়েছে। জরুরি অপারেশন শেষে তাদের ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি আহতদের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে কয়েক দফা যোগাযোগ করেও কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজের মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক যুগান্তরকে বলেন, এটি কোনো দলীয় ঘটনা নয়। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের জন্য কিছু উপহার কেনা হয়েছিল। এগুলো হস্তান্তরের সময় ছাত্রদের একাংশ ছিল, অপরাংশ ছিল না।