ঢাবি ছাত্রীকে কক্ষ ত্যাগে ছাত্রলীগ নেতাদের চাপ
বাধা দেয়ায় ৩ বন্ধুকে মারধর
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৫ মে ২০১৪, ০০:০০:০০ |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে কক্ষ থেকে বিতাড়ন করতে বাধা দেয়ায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করেছে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় শাখার কয়েকজন নেতা। মঙ্গলবার রাত এগারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ দক্ষিণ নীলক্ষেত আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র ছাত্র আসিফ মোহাম্মদ জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০০৭-০৮ সেশনের ছাত্রী তার বান্ধবী টুম্পা নীলক্ষেত আবাসিক এলাকার ৯৭নং ভবনের একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন। তার সঙ্গে থাকতেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রী নিপা। কিছুদিন ধরে নিপার বন্ধু নাবিল টুম্পাকে ওই কক্ষটি ছেড়ে দিতে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ ঘটনার আগের দিন সোমবার রুম ছেড়ে না গেলে টুম্পাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন নিপা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নাবিল ও তার বন্ধু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-সম্পাদক মামুন, উপ-পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক ধ্র“ব, ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মিথুন চন্দ্র দাস, যুগ্ম-সম্পাদক আল আমিনসহ আট-দশজন ওই ছাত্রীকে কক্ষ থেকে বের করে দিতে যায়। এ সময় তারা ওই ছাত্রীকে কক্ষটি খালি করতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। খবর পেয়ে আসিফ ও তার দুই বন্ধু ঘটনাস্থলে গেলে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের অনুসারী। এ ব্যাপারে জানতে বদিউজ্জামান সোহাগকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মারধরের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র ছাত্র আসিফ মোহাম্মদ জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০০৭-০৮ সেশনের ছাত্রী তার বান্ধবী টুম্পা নীলক্ষেত আবাসিক এলাকার ৯৭নং ভবনের একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন। তার সঙ্গে থাকতেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রী নিপা। কিছুদিন ধরে নিপার বন্ধু নাবিল টুম্পাকে ওই কক্ষটি ছেড়ে দিতে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ ঘটনার আগের দিন সোমবার রুম ছেড়ে না গেলে টুম্পাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন নিপা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নাবিল ও তার বন্ধু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-সম্পাদক মামুন, উপ-পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক ধ্র“ব, ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মিথুন চন্দ্র দাস, যুগ্ম-সম্পাদক আল আমিনসহ আট-দশজন ওই ছাত্রীকে কক্ষ থেকে বের করে দিতে যায়। এ সময় তারা ওই ছাত্রীকে কক্ষটি খালি করতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। খবর পেয়ে আসিফ ও তার দুই বন্ধু ঘটনাস্থলে গেলে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের অনুসারী। এ ব্যাপারে জানতে বদিউজ্জামান সোহাগকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ঢাবি ছাত্রীকে কক্ষ ত্যাগে ছাত্রলীগ নেতাদের চাপ
বাধা দেয়ায় ৩ বন্ধুকে মারধর
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৫ মে ২০১৪, ১২:০০ এএম |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে কক্ষ থেকে বিতাড়ন করতে বাধা দেয়ায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করেছে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় শাখার কয়েকজন নেতা। মঙ্গলবার রাত এগারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ দক্ষিণ নীলক্ষেত আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র ছাত্র আসিফ মোহাম্মদ জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০০৭-০৮ সেশনের ছাত্রী তার বান্ধবী টুম্পা নীলক্ষেত আবাসিক এলাকার ৯৭নং ভবনের একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন। তার সঙ্গে থাকতেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রী নিপা। কিছুদিন ধরে নিপার বন্ধু নাবিল টুম্পাকে ওই কক্ষটি ছেড়ে দিতে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ ঘটনার আগের দিন সোমবার রুম ছেড়ে না গেলে টুম্পাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন নিপা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নাবিল ও তার বন্ধু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-সম্পাদক মামুন, উপ-পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক ধ্র“ব, ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মিথুন চন্দ্র দাস, যুগ্ম-সম্পাদক আল আমিনসহ আট-দশজন ওই ছাত্রীকে কক্ষ থেকে বের করে দিতে যায়। এ সময় তারা ওই ছাত্রীকে কক্ষটি খালি করতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। খবর পেয়ে আসিফ ও তার দুই বন্ধু ঘটনাস্থলে গেলে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের অনুসারী। এ ব্যাপারে জানতে বদিউজ্জামান সোহাগকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মারধরের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র ছাত্র আসিফ মোহাম্মদ জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০০৭-০৮ সেশনের ছাত্রী তার বান্ধবী টুম্পা নীলক্ষেত আবাসিক এলাকার ৯৭নং ভবনের একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন। তার সঙ্গে থাকতেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রী নিপা। কিছুদিন ধরে নিপার বন্ধু নাবিল টুম্পাকে ওই কক্ষটি ছেড়ে দিতে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ ঘটনার আগের দিন সোমবার রুম ছেড়ে না গেলে টুম্পাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন নিপা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নাবিল ও তার বন্ধু ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-সম্পাদক মামুন, উপ-পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক ধ্র“ব, ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মিথুন চন্দ্র দাস, যুগ্ম-সম্পাদক আল আমিনসহ আট-দশজন ওই ছাত্রীকে কক্ষ থেকে বের করে দিতে যায়। এ সময় তারা ওই ছাত্রীকে কক্ষটি খালি করতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। খবর পেয়ে আসিফ ও তার দুই বন্ধু ঘটনাস্থলে গেলে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের অনুসারী। এ ব্যাপারে জানতে বদিউজ্জামান সোহাগকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।