ইমরান খান রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সংলাপে আগ্রহী নন: রানা সানাউল্লাহ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ও জনসংযোগ উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ মঙ্গলবার বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পাকিস্তানের রাজনৈতিক ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে বসতে প্রস্তুত নন।
সামা টিভির ‘রেড লাইন উইথ তালাত হুসেন’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আর্মি পাবলিক স্কুল (এপিএস) হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পেরিয়েও জাতি এখনো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কণ্ঠ তুলছে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, সম্প্রতি ক্যাডেট কলেজে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা হয়েছে, যা সফল হলে এপিএস হত্যাকাণ্ডের চেয়ে আরও বিধ্বংসী হতে পারত।
রানা সানাউল্লাহ বলেন, ‘এপিএস ঘটনার আগে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য ছিল না। ‘ভালো’ এবং ‘খারাপ’ তালেবান নিয়ে বিতর্ক চলত এবং জাতি একমত ছিল না,’ তিনি বলেন।
তিনি আরও বলেন, এপিএস-এর পর জাতীয় সংহতি তৈরি হওয়ার পর সন্ত্রাস কমে যায়। তবে পরে আবার বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় যখন সন্ত্রাসীরা দেশে ফিরে আসে।
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, কে ঠিক করেছে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, যেসব আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে এবং তারপরও সন্ত্রাসীরা আবার সহিংসতায় লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজ কেন বলা হচ্ছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান করা উচিত নয়? কেন তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে?’—এ ধরনের বক্তব্য শুধুই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দার তথ্যভিত্তিক অভিযানকেও অবরোধ করা হচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক।
উল্লেখ্য, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফাইজ হামীদ তখনকার সরকারকে সন্ত্রাসীদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে অবহিত করেছিলেন। তখন যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সন্ত্রাসীরা অস্ত্র রেখে সমাজে সংবিধান ও আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হবে।
রানা সানাউল্লাহ অভিযোগ করেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এখনো ‘সশস্ত্র সংগ্রামে’ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি মে ৯, মে ২৫ ও নভেম্বর ২৬-এর ঘটনাগুলো উল্লেখ করেন এবং বলেন, নভেম্বর ২৬-এও সহিংসতার ইচ্ছা ছিল, তবে তা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, ‘পিটিআই একটি ঘটনা ঘটার অপেক্ষায় রয়েছে।’
তিনি বলেন, এখন স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে হবে এবং রাষ্ট্রের নীতি কোনো দ্ব্যর্থহীন। ‘জাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সন্ত্রাসীদের কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে, যারা আলাপ-আলোচনার পক্ষে তাদেরও কঠোর পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
ফাইজ হামীদের দণ্ডসংক্রান্ত প্রসঙ্গে রানা সানাউল্লাহ বলেন, নওয়াজ শরিফ এ বিষয়ে বড় ধরনের মন্তব্য করেননি, শুধু বলেছেন এটি প্রতিশোধ।
তিনি অভিযোগ করেন, ফাইজ হামীদ শৃঙ্খলা ভেঙেছেন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, বিশেষ করে ‘টপ সিটি’ মামলায়। তিনি বলেন, এটি কেবল একজন ব্যক্তির সমস্যা নয়, এটি একটি বিস্তৃত সিস্টেমের সমস্যা।
রানা সানাউল্লাহ বলেন, যদি রাজনৈতিক ব্যবস্থা সঠিক করা যায়, তবে আর কোনো বড় প্রতিশোধ বা তৃপ্তি প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, যখন পিএমএল-এন ও পিপিপি একটি গণতান্ত্রিক চার্টার নিয়ে একমত হয়েছিল, তখন একটি “তৃতীয় শক্তি” প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করেছিল।
সূত্র- সামা

-6943cf2a6920a.jpg)