Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

মুক্তি মিললো না ইমরান খানের, আদালতে জামিন আবেদন খারিজ

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম

মুক্তি মিললো না ইমরান খানের, আদালতে জামিন আবেদন খারিজ

ইমরা খান। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ২০২৩ সালের ৯ মে দেশটিতে সংঘঠিত সহিংস ঘটনার ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে রায় দিয়েছেন আদালত। দুইজন পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্যের ভিত্তিতে লাহোর হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার এ রায় দিয়েছেন। 

আদালত ইমরান খানের জামিন আবেদন খারিজ করে জানায়, তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও উস্কানির যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

লিখিত আদেশ অনুযায়ী, ইনস্পেক্টর ইসমত কামাল ও সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর (এএসআই) হাসান আফজালের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইমরান খানই ২০২৩ সালের ৪ মে রাওয়ালপিন্ডির চক্রি রেস্ট এরিয়ায় এবং পরে ৭ মে ও ৯ মে লাহোরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের আয়োজক ছিলেন। আদালতের মতে, এই তথ্য প্রমাণ করে যে সহিংসতার সময় ইমরান খান কারাগারে থাকলেও তিনি এর পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছিলেন।

রায়ে বলা হয়েছে, ‘এই সাক্ষ্যগুলো পাকিস্তান দণ্ডবিধির ১২০-বি ও ১২১-এ ধারার আওতায় পড়ে’, যা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং বিদ্রোহে উস্কানির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এর ফলে গুরুতর আইনি পরিণতি হতে পারে।

আদালত আরও পর্যবেক্ষণ করে জানায়, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানের আগের দণ্ড নিয়ে কোনো আপত্তি তোলা হয়নি। একইসঙ্গে বলা হয়, তার কথিত বক্তব্য ও কর্মের কারণে প্রাণহানি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অডিও ও ভিডিও ক্লিপ এবং পেমরার প্রস্তুত করা ট্রান্সক্রিপ্ট উপস্থাপন করেন, যেগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষা প্রয়োজন। আদালতের অনুমতি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তারা কারাগারে থেকেই ফটোগ্রামেট্রি, পলিগ্রাফ ও ভয়েস-ম্যাচিং টেস্ট করার উদ্যোগ নেন। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খান বারবার সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানান, যা তদন্তে বাধা সৃষ্টি করেছে।

আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব অভিযোগ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারার ‘প্রতিবন্ধক শর্তে’ পড়ে, যেখানে গুরুতর অপরাধে জামিন নিষিদ্ধ। আদালত বলেছে, এমন কোনো নতুন পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়নি যা আরও তদন্ত বা জামিনের পক্ষে যুক্তি দিতে পারে।

রায়ে বলা হয়, ‘উপস্থাপিত সব তথ্য বিবেচনায় নিয়ে আমরা মনে করি, আবেদনের প্রেক্ষিতে জামিন মঞ্জুর করা যাচ্ছে না।’ ফলে আদালত জামিন-পরবর্তী আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম