বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরই হবে অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা ও অস্পষ্টতা অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকার কথা নয়।গণঅভ্যুত্থানের পরেও যদি নির্বাচনের দাবি তুলতে হয় সেটা বিব্রতকর।

বুধবার বগুড়া শহরের দত্তপাড়া মিলনায়তনে পার্টির জেলা প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেছেন, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরই হবে অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

তিনি বলেন, গণহত্যার বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের বিপরীতে দাঁড় করানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ অপরাধের বিচার ও সংস্কারের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলসমূহের জনগণের কাছে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার রয়েছে।

সাইফুল হক বলেন, নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা ও বিভ্রান্তি অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। এতে রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে সরকারের এক ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত দূরত্বও তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের যেহেতু নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকার কথা নয় সে কারণে নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত রাখারও কোনো অবকাশ নেই।

তিনি বলেন, গত ষোল বছর দেশ পরিচালনায় মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেনি। ভোট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচনের কথা মানুষ ভুলতে বসেছে। শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সাইফুল হক বলেন, গত দেড় দশকে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণআন্দোলনের প্রধান বিষয় ছিল ভোটের অধিকারসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর এখন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও যদি আবার ভোট বা নির্বাচনের দাবি তুলতে হয় সেটা বিব্রতকর।

সরকারের ওপর আস্থা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা রাজনৈতিক দল ও জনগনকে আশ্বস্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

আবদুর রউফের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফিরোজ আহমেদ, পার্টির টাংগাইল জেলার নেতা মাহমুদুল হাসান পিপলু, গাইবান্ধা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, নীলফামারী জেলার নেতা অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন, মোশাররফ হোসেন নান্নু, পার্টির বগুড়ার সংগঠক সাইফুল ইসলাম, মনি সরকার প্রমুখ।